
নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রজীবন থেকেই জেলার প্রতি আমার হৃদয়ে আলাদা দরদ কাজ করে। যখনই সুযোগ পেয়েছি তখনই আমি জেলা বাসীর পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। সাতনদীর সাথে সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপণ।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে করোনার করাল গ্রাসে যখন নিম্ন বিত্ত পরিবারগুলো চরম দৈন্যতায় ভুগছিলো তখনই তিনি সেঞ্চুরি একাডেমীর মাধ্যমে তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। শহর জুড়ে হাজারেরও অধিক পরিবারের মাঝে সবজি বিতরন করা হয়। প্রায় তিনমাস ব্যাপী চলা কার্যক্রমে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনটন সবজি বিতরণ করা হয়। যার মোট পরিমান তিনশ টনেওর বেশি। এটা শুধু নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে বিরতন হয়নি। পৌছে দিয়েছেন বাড়ি বাড়ি। এরই মধ্যে আম্ফানের আঘাতে জেলা ব্যাপী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন টিন বিতরণ ও জেলাব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে গাছের চারা বিতরন করেন তিনি। শহরের পথচারীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পৌর এলাকার ৪৬টি মসজিদে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ কার্যক্রম চলমান আছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এও আমার অবদান কম নয়। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করা কালীন আমিই প্রথম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যদের নিয়ে পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়া সফর করি। এছাড়াও এসোসিয়েশনের ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দরে বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরণ, পূর্নাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়ে চিঠি ও এনবিআরে যোগাযোগ রক্ষার কাজও নিয়মিতই করেছি।
দীর্ঘ দিন পর বসন্তপুর নৌ-বন্দর আবারও চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিআরটিসি বাস সার্ভিস, পর্যটন হোটেল, মোটেল স্থাপনের জন্য এখনও কাজ করে যাচ্ছি। জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি। আমি জনগনের জন্য কাজ করতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সহায়তায় ও ব্যক্তি উদ্যোগে আমি সাতক্ষীরা জেলায় আধুনিকতার ছোঁয়া নয় আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে নির্বাচিত করে সুযোগ দিলে তাদের প্রত্যাশা পূরণে আমার সর্বস্ব নিয়োগ করবো।