*বিদ্রোহীদের থাকছেনা সদস্যপদ, অনুপ্রবেশ করতে পারবেনা হাইব্রিড-জামায়াত বিএনপির কেউই;
*তৃণম‚লের দাবী: তালা-কলারোয়ায় সংসদ নির্বাচনে চাই দলীয় প্রার্থী, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ;
আহাদুর রহমান জনি: কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পেয়ে মনের ক্ষোভ উগরে দিলেন আওয়ামী লীগের তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দ। দলীয় বিভাজন সৃষ্টি, হাইব্রিড নেতা সৃষ্টি, বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি, দলে জামায়াত-বিএনপি’র অনুপ্রবেশ, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোনঠাসা করাসহ নানা অগঠনতান্ত্রিক কর্মকান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্র নেতারা এসব অভিযোগের ব্যবস্থার করণীয় ও তৃণম‚লকে সংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলকে শক্তিশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার শুক্রবার (০৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমে ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আসার প‚র্বে সাতক্ষীরার কথা শুনে হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু তৃণম‚লের কথা শুনে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। সংগঠনের স্বার্থে তারা এক হয়ে কাজ করবে এ বিশ্বাস আমাদের মাঝে জন্মেছে। তিনি আরও বলেন ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য নবায়নের মাধ্যমে ওয়ার্ড কাউন্সিল, ইউনিয়ন কাউন্সিল, উপজেলা কাউন্সিল করতে হবে। তৃণম‚ল পর্যায়ের ভীত মজবুত না করলে সংগঠন মজবুত হবে না। তাই তৃণম‚লের ভীত মজবুত করতে হবে।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্না, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার প্রমুখ।
বিশেষ বর্ধিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও প্রয়াত নেতৃবৃন্দের সম্মানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দকে প্রাধান্য দিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন আমরা আজ বলতে নয় শুনতে এসেছি। সাতক্ষীরা জামায়াত অধ্যুশিত এলাকা। এজন্য এ জেলার সাংগঠনিক কাঠামো দ‚র্বল। তবে এ দ‚র্বলতা কাটিয়ে উঠে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় তা আমাদের জানাবেন। এসময় তিনি তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দকে তাদের বক্তব্য পেশ করতে দেন। ৭টি উপজেলার ইউনিট ও একটি পৌর ইউনিটের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
ইউনিটের নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের কারণ হিসেবে জানান নৌকার বিরুদ্ধে নৌকার বিদ্রোহী প্রাথী ও তাদের মদদদাতা হিসাবে সক্রিয় সহযোগীতা কারী হিসেবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতৃবৃন্দ জড়িত। এছাড়াও দলে হাইব্রিড,জামায়ত-বিএনপির অনুপ্রবেশ কারীরাও নৌকার বিপক্ষে কাজ করে।
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এসময় বলেন, “দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে চিঠি বা কোন নির্দেশনা ছাড়াই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়নি, কতিপয় নেতারা বিভক্ত হয়েছে। যারা দলের বড় পদ নিয়ে বসে থাকবেন অথচ কাজ করবেননা। তাদের দলে দরকার নেই। জামায়াত-বিএনপি ও হাইব্রিড দলে ঢোকানো যাবেনা। এরা দলের ভাল চায়না। তারা দলের ভিতরে থেকে দলের ক্ষতি করে। এজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতিকভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য দ্রুত সকল বিভেদ ভুলে ২৮ জুনের মধ্যে সকল কাউন্সিল শেষ করার আহবান জানান তিনি”
তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দেরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানান যে, সাতক্ষীরা জেলায় কোন কোন ইউনিটে ২ থেকে ৭বছর পর্যন্ত দলীয় কাউন্সিল হয়নি। যার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যদি ওয়ার্ড পর্যায়ে, ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিল হয় তাহলে যেন তা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় হয়। হাইব্রিড, ফুলের তোড়া দিয়ে দলে যোগদান করা, বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে তৃণম‚লের কাউন্সিল হলে দল শক্তিশালী ও সংগঠিত হবে। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি, জামায়াত-বিএনপির হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার কাউন্সিল নয়। আমরা দেখেছি যে পৌর একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলে বিএনপি ও জামায়াতের নাশকতা মামলার আসামীদের অংশ নিতে।
তালা-কলারোয়া আওয়ামী লীগের তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দ জোর দাবি তোলেন তালা ও কলারোয়ায় ওয়ার্কাস পার্টির এমপি হওয়ায় এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগে বিভাজন সবচাইতে বেশি। দুটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ওয়ার্কাস পার্টির এমপির সমর্থক, আরেকটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের। তবে এমপির সমর্থক আওয়ামী গ্রুপটি শক্তিশালী ভ‚মিকায় অবতীর্ন হয়ে আরেকটি গ্রুপকে চাপে রাখে। কিন্তু তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ম‚লত আওয়ামী লীগ। এ দুটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্তিশালী। তাই আগামীতে এ আসনে দলীয় প্রাথী মনোনয়ন পেলে দল আবারও শক্তিশালী অবস্থায় ফিরে যাবে। ম‚লত ওয়ার্কাস পার্টির এমপির মদদে আওয়ামী লীগে বিভাজন সৃষ্টি করে সাংগঠনিক কাঠামো দ‚র্বল করে রাখে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান অসলে বলেন, আমি নৌকার প্রার্থী হওয়া স্বত্বেও মাওলানা খালেকের বাহিনী আমাকে মেরে জীবন নাশের চেষ্টা করে। আমার হাতপা ভেঙে খন্ড খন্ড হয়ে যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহায়তায় প্রথমে ঢাকায় ও পরে ভারতে চিকিৎসা হওয়ায় বেঁচে আছি।
আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার) বরেন, ১৯৯৬ সালে বয়েজ স্কুল মাঠে বিএনপির তৎকালীন সহ-সভাপতি রউফ চেয়ারম্যান আমার নেত্রীর কাপড় খুলে নেওয়ার বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে ১৪-১৫টা নাশকতা মামলার আসামী। সে আমাদের রাজনৈতিক বড় প্রতিবন্ধকতা।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আহবানে তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, , বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মফিজুর রহমান শ্যমনগর’র অসীম কুমার মৃধা প্রমুখ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক তৃণম‚ল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘কোন হাইব্রিড স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত স্বপক্ষের কোন ব্যক্তি দলে যেন ঠাঁই না পায় এটা নেতৃর স্পষ্ট বক্তব্য। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী ও প্রার্থীর স্বপক্ষে কাজ করা, মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করা ও স্টেজে যারা বক্তব্য রেখেছে, যারা প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করেছে তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সংগঠনে কোন পদ বা সদস্য হতে পারবেনা। তাদেরকে বাদ দিয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি করতে হবে।
এক প্রশ্নে জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদের বিষয়টি ইতোপ‚র্বে নিষ্পত্তি হয়েয়েছে। তারা এই নির্দেশনার আওতায় আসবে না। যে উপজেলা কমিটিগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে উক্ত কমিটি গুলো উপজেলার সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে যাচাই বাছাই করে জেলা কমিটিকে অনুমোদনের জন্য দেয়ার নির্দেশ করে। তবে বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে এ কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সাংসদ ডা. মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এরতেজা হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাফী আহমেদ, মাস্টার নীলকণ্ঠ সোম, শেখ সাহিদ উদ্দিন, মিসেস সাহানা মহিদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, মো. আসাদুজ্জামান বাবু, আ. হ. ম তারিক উদ্দীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আরাফাত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনিত কুমার মুখার্জী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ বাবু রাজ্যেশ্বর দাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম শওকত হোসেন, এবিএম মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ নুরুল ইসলাম, নরীম আলী মাস্টার, মো. মুজিবুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, মো. সাহাদাত হোসেন, ঘোষ সনৎ কুমার, এসএম আতাউল হক দোলন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাঈদ মেহেদী, মো. আব্দুল কাদের, সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, ফিরোজ আহমেদ, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, মো. আসাদুজ্জামান অসলে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক ছোট, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, মিসেস কহিনুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন নাহার মুন্নি, মো. সামছুর রহমান, মীর জাকির হোসেন, মিসেস মাহফুজা রুবি ও ইসমত আরা বেগম প্রমুখ। এছাড়া ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।