মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন: উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলার জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জার্মান সংস্থা বিএমজেড এবং ওয়েলথাঙ্গারহিলফে সম্পর্কে-এর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ (আনন্দো) বাস্তবায়িত "কমিউনিটি-লেড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল লাইভলিহুড প্রোগ্রাম ইন কোস্টাল এরিয়াস অব সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট"-এর আওতায় সাতক্ষীরার পাবলিক লাইব্রেরি কনফারেন্স রুমে জেলা পর্যায়ের এডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উন্নয়ন কর্মী, স্থানীয় সংগঠন, প্রকল্পের উপকারভোগী এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জেলা ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) জনাব সঞ্জিত কুমার দাশ প্রধান অতিথি হিসেবে এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) নাজমুন্নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আনন্দ (আনন্দো)-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আমিরুল ইলসাম।
সভায় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জীবিকা সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান প্রভাব। এসব মোকাবিলার জন্য সরকারি-বেসরকারি কার্যকর সমন্বয় এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার, বাজার সংযোগ, টেকসই কৃষি পদ্ধতি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বৈচিত্র্যময় জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
প্রধান অতিথি সঞ্জিত কুমার দাশ বলেন, "জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ যুব ও সাধারণ মানুষকে দক্ষতা উন্নয়ন, বাজারমুখী প্রশিক্ষণ এবং জীবিকায়ন সহায়তা দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এই প্রকল্পটি স্থানীয় যুব, নারী এবং কৃষক পরিবারের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।"
বিশেষ অতিথি নাজমুন্নাহার বলেন, "নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সংযোগ এবং জলবায়ু-সহনশীল জীবিকায় সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আমিরুল ইলসাম প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, কৃষি বিভাগ, যুব উন্নয়ন, বেসরকারি সংগঠন এবং গণমাধ্যমের মধ্যে আরও নিবিড় ও সমন্বিত কাজের আহ্বান জানান।
এর মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে সকলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই ধরনের উদ্যোগ সাতক্ষীরার উপকূলীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।