নিজস্ব প্রতিবেদক: বিক্রীত জমি জবরদখল করতে না পেরে মাদকসহ নানা রকম হয়রানি মূলক মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন পূর্বের মালিক। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামের শেখপাড়ায় ঘটেছে। পূর্বে একাধিকবার হামলা করে দমাতে না পেরে জীবন হরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দহাকুলার মজু।
ভুক্তভোগী লিটন শেখ জানান, “প্রায় চারবছর পূর্বে দহাকুলা গ্রামের শেখপাড়ার মৃত শেখ আব্দুর রহিমের ছেলে শেখ মফিজুর রহমানে মজুর কাছ থেকে বসবাসের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ১০ (দশ) শতক জমি ক্রয় করি। সে মোতাবেক জমি কিনে পাঁচিল দিয়ে ও ঘরবাড়ি করে এতদিন বসবাস করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ গত বছর থেকে এ জমির পূর্বের মালিক মফিজুর রহমান আমাকে এলাকা ত্যাগ করতে বলে। আমি কারণ জানতে চাইলে সে বলে ‘হয় আমার জায়গা ছাড়বি না হলে প্রাণ ছাড়বি।’ আমি এর প্রতিবাদ করলে এ বছরের জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার বাসায় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে আমার স্ত্রীকে মারধোর করে মফিজুর গং। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে একাধিকবার শালিসের পর মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু আবারও গত কয়েকদিন যাবৎ মফিজুর রহমান উৎপাৎ শুরু করেছে। প্রায় প্রতিরাতে আমার বাড়ির টিনের চালে ইট ছুঁড়ে মারে। রাতে হঠাৎ গেটে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এছাড়াও গত কয়েকদিন অজ্ঞাত সংখ্যক সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মটরসাইকেলে শো’ডাউন করে গালিগালাজও করে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার সবসময় আতংকে আছি।”
[embed]https://youtu.be/Cbv-D0xbnaE[/embed]
লিটন শেখের স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন সুমি জানান, “২০১৬ সালে আমরা মফিজুর রহমানের কাছ থেকে জমি ক্রয় করি। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল। কিছুদিন যাবৎ ওরা আমাদের এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমরা যেতে না চাওয়ায় প্রতিনিয়ত বহিরাগতদের দিয়ে মফিজুর রহমান আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা এও বলে আমার স্বামীকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। আমার মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে আর বাড়ি ফিরে আসবে না। আমার কোলের ছোট মেয়েকে খুঁজে পাবনা। এ ছাড়াও আমাদের সবাইকে হত্যারও হুমকি দেয়। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জীবনের ভয়ে আমি পাশের বাড়ির নাছরিন আপার বাড়ি অবস্থান করি। আমার স্বামী বাড়ি ফিরে আসার সময় আমাকে বাসায় নিয়ে আসে। এমতাবস্তায় আমরা জীবন সংকটে আছি।”
লিটন শেখের প্রতিবেশি নাছরিন আক্তার জানান, “শুধুমাত্র জমি জায়গা নিয়ে এ গোলযোগের সৃষ্টি। লিটনকে আমরা কোনদিন মাদক বিক্রি করতে দেখি নাই। এছাড়াও সে এলাকায় ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত। অন্য কারও সাথে গোলযোগ সে কখনও করেনি। মজুরা অন্যায় ভাবে লিটনদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ”