জাতীয় ডেস্ক:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সিনিয়র ফিল্ড অপারেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট রাবেয়া খাতুনসহ (২৯) তার পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে রাবেয়া খাতুনের বাবা সাবেক নৌ-কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহেনূল ইসলাম ফারুক (৬৬) জানান, ১৯৯০ সালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর বাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন ছয় শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করে তার পরিবার। তার বাসার দুপাশে স্থানীয়দের চলাফেরার জন্য কেনা জমি থেকে এক শতক ছেড়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব পাশের চলাচল ও সাইকেল-মোটরসাইকেল যাতায়াতের পর্যাপ্ত জায়গা থাকা স্বত্বেও প্রতিবেশী চরসরিষাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন (৪৫) অতিরিক্ত জায়গা দাবি করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক রতন রুহেনূল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে জায়গা বেদখলের অপচেষ্টা করেন। কয়েকবার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। এ নিয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা ও থানায় দুটি জিডি তদন্তাধীন আছে।
রুহেনূল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকালে ভেঙে ফেলা সীমানা পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করি। এ সময় শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন, তার স্ত্রী শিক্ষিকা আফরোজা বেগম ও ছেলে আকাশসহ বহিরাগত লোকজন হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমাদের মারধর করে চারটি টিনের বেড়া, একটি সিসি ক্যামেরা ও দুটি স্মার্টফোন ভাঙচুর করে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। আমাদের ফাঁসাতে রতন মাস্টার উল্টো তার মা ও স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির নাটক করেন। আমরা আতঙ্কে আছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতনের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে জাগো নিউজের দাবি করেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।’
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবীর জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।