প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ২:১৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ৯:০০ অপরাহ্ণ
জনগনের ভোটেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে : আফরোজা আব্বাস
কিশোর কুমার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, কেউ যেন আর ভোট চুরি করতে না পাওে, আমরা ভোট চুরি করতেও চাইনা। আবার বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না। আমরা চাই যুদ্ধ করে, লড়াই করে জিততে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, গণতন্ত্র পূণঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে । কারন জনগনের ভোটেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। সূতরাং আমরা যেন আমাদের ভোটটি দিতে পারি সেজন্য সকলকে সজাক থাকতে হবে ।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার( ১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার জেলার তালা উপজেলার কুমিরা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আজ আমি আপনাদের এখানে এসেছি। আমরা নারীর যুগে যুগে আমরা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি । আমরা তখন নির্যাতিত যখন আমরা একজন গৃহবধূ ,একজন মা ঠিক তখনই। আমাদের নারীদের প্রথম ঘর থেকে বের করেছিলেন বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে ১ লা সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী দল ঘোষনা করার চারদিন পর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঘোষনা করেন। তিনি বুঝেছিলেন এক হাতে কখনও তালি বাজেনা দুটো হাতই কর্মট সতুরাং একটা নারী আর একটা পুরুষ । সে জন্য তিনি আমাদের নারীদের গুরুত্ব বুঝেছিলেন ।
আফরোজা আব্বাস বলেন ,কর্মক্ষেত্রে বলেন, প্রশাসনে বলেন, সামাজিক বলেন, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্র সহ সকল ক্ষেত্রে নারীদের অবদান রয়েছে । বর্তমানে দেশের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে নারী । সেটাও আজ জিয়াউর রহমানের অবদান । এরপরে অবদান হল বেগম খালেদা জিয়ার । খালেদা জিয়া আমাদেও দেশে নারী শিক্ষার ব্যাবস্থা করেছিলেন। প্রথমে ম্যাট্রিক পরে ইন্টারমিডিয়েট এবং বি. এ। সেই নারী নেত্রী দেশের প্রথম নির্বাচন করে পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেছিলেন কোন সময় পরাজিত হননি । তিনি বাংরাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী । দেশের সকল উন্নয়ন তার হাত দিয়ে হয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ঘর থেকে বেরিয়ে ধানের শীষ প্রতিকে ভোট চাওয়ার আহবান জানান তিনি।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা -১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমে পাটকেলঘাটাকে উপজেলা করা হবে। এরপর জনগনকে সাথে নিয়ে তালা কলারোয়ার রাস্তাঘাট , জলবদ্ধতা নিষ্কাষন সহ সকল উন্নয়ন করা হবে ।
তালা উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক মেহেরুন নেছা মিনির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের খুলনা বিভাগীয় টিম লিডার ও সাবেক এমপি নেওয়াজ হালিমা আর্লি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবুল হাসান হাদী। আরো বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়, সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.