সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক এস.এম মোর্তজা আলম লিটনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে, বিষয়টি অভিভাবকদের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।আটককৃত শিক্ষক এস.এম মোর্তেজা আলম লিটন সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা কর্মকার পাড়া গ্রামের মৃত. মুনসুর আলী সানার ছেলে। একই সাথে তিনি সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক। ভুক্তভোগী মৌরিনা তাছরিন (১৫) ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ভুক্তভোগী মৌরিনা তাছরিন বলেন, গত দুই মাস যাবত বিকাল ৫টা থেকে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ি মোর্তেজা লিটনের কাছে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (২২ মে) বিকাল ৫ টায় শিক্ষকের বাসায় ১২-১৩ জন সহপাঠি প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ার শেষ পর্যায়ে শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে আমার খাতা দেখতে দেখতে এক ঘন্টার বেশি সময় লাগান। ততক্ষনে আমার অন্যান্য সহপাঠিরা চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষক কক্ষের সোফা থেকে উঠে আমার সাথে অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে জোরপূর্বক জাপটিয়ে ধরে আমার শরীরের স্পর্শকাতর (গোপনাঙ্গ) স্থানে হাত দেন। আমি তাকে বাধা দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তিনি আমার মুখ চেপে ধরে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে আমি নিজের চেষ্টায় শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত নিজের বাসায় চলে আসি। বাড়ীতে এসে আমি কান্নাকাটি করতে করতে বিষয়টি আমার মাকে জানায়। পরবর্তীতে বিষয়টি লিখিতভাবে সাতক্ষীরা সদর থানায় জানানো হয়। এ বিষয়ে তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রীর সাথে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সহকারি ইংরেজি শিক্ষক লিটনকে আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিংয়ে সকলের সম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের (ওসি) তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্তজা আলম লিটনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আটককৃত শিক্ষককে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়েছে।