আহাদুর রহমান জনি: কয়েকশত সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান পুত্র জনির বিরুদ্ধে। প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন রাস্তার গাছ বিক্রি করে টাকা পকেটে ঢুকানোর অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ছোনকা টু ঘোনা পরিষদ ভবন পর্যন্ত কয়েকশত গাছ উজার হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার অনুসন্ধানের গিয়েও গাছ খেকোদের দেখা পাওয়া যায়নি। অবশেষে গত শনিবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা সত্যতা পাওয়া যায়। তখন ছোনকা সাহেব আলীর দোকানের পাশে থেকে একটি বিশালাকৃতির রেইনট্রি গাছ কাটতে দেখা যায়। তার কিছু দূরে দুটি তাল গাছও কাটা হয় এসময়। একই ভাবে ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত শতাধিক গাছ কাটা হয়ে গেছে। বৃক্ষ শোভিত রাস্তার দু’ধার এখন খাঁ খাঁ করছে।
গাছ কাটতে থাকা লূৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছগুলো জিয়ারুল কিনে নিয়েছে। ছবিতে দেখানো গাছটি বিক্রি হয় ৩০ হাজার টাকা। এসময় ছবি তুলতে দেখে তিনি আবার বলতে থাকেন আপনি কাদের চেয়ারম্যানের ছেলে জনির সাথে কথা বলেন। জনির সাথে কথা বলবো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে লুৎফর জানায় এই গাছটি বিক্রি করে এতিম খানায় দেওয়া হবে। জনিই এগুলো দেখভাল করছে। একসময় সে স্বীকার করে যে জনিই মূলত রাস্তার গাছগুলো বিক্রি করছে।
এ নিয়ে গাছগুলো ক্রয়কারি জিয়ারুলের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাছ ক্রয়-বিক্রয় করি নাই। আমার কাছে গাছ কাটার জন্য লোক চেয়েছিলো জনি। সেই ভালো বলতে পারে।
বিপুল পরিমান গাছ বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে জনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে গাছ গুলো আমি বিক্রী করছিনা। এই গাছগুলো অপসারনের জন্য স্থানীয়রা জেলা পরিষদের আবেদন করে। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এসে স্থানীয়দের সামনে মাপ-জরিপ করে গাছগুলো মালিকানা জমিতে বলে ঘোষণা দেয়। তারপর থেকে গাছ গুলো কাটা হয়। তবে আমি না গাছগুলো কাটছে জমির মালিকরা।
এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, সার্ভেয়ার নামমাত্র দেখে চলে গেছেন। কিন্তু ওই গাছগুলো সররকারি তা শতভাগ সত্যি।