নিজস্ব প্রতিবেদক: দাবিকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকা না পেয়ে পৈত্রিক জমি জবর দখলের হুমকি দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামে ঘটেছে। চরম হুমকির মুখে ভুক্তোভোগী এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ফয়জুল্লাপুর গ্রামের মৃত আশরাফ উদ্দীনের ছেলে নাসির উদ্দনীন জানান, আমার পৈত্রিক জমিতে আমবাগান, ঘেরসহ নানাবিধ চাষাবাদ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন এ জমি বে-দখলের হুমকি দিয়ে তাঁতীলীগ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় মৃত সৈয়দ আলী মোল্লার ছেলে ও ফিংড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মোল্লা, শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহবুব রহমান রনি, মৃত সৈয়দ আলী গাজীর ছেলে আনারুল গাজী, হযরত আলীর ছেলে বাবলু রহমান, অবসরপ্রাপ্ত কস্টেবল তাজুল, মিলন সহ তাদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি। এক পর্যায়ে চলতি বছরে আম বাগানের আম বিক্রি করে তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেই। এরই মধ্যে মোবাইল ফেনে তারা আমার কাছে আবারও ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু এত টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত শুক্রবার (৯’ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে আমার জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে বে-দখলের চেষ্টা শুরু করে গ্রুপটি। খবর পেয়ে আমি গিয়ে বাধা দিলে তারা আমাকেক বেধরক মারধোর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গ্রুপটির সদস্যরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিদের সহায়তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাসির উদ্দীন আরও জানান, আজ রাতে (শনিবার) আমার জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে বাঁশ-খুঁটি কেটে প্রস্তুত আছে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল কাদের মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা ওই জমিতে গিয়েছিলাম জমিটির দখল বুঝে দিতে।’ জমির দখল করে দেওয়ার কোন এখতিয়ার তাদের আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। রাতে জমিটি দখল হবে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। অপরদিকে চাঁদার বিষয়টিও অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, চাঁদাবাজী, চাঁদাদাবী ও চাঁদা না পেয়ে পৈত্রিক জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ ভুক্তভোগী নাসির উদ্দীন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।