নিজস্ব প্রতিবেদক: দাবি আদায়ের মামলার খরচ আদায়ের নামে দেশব্যাপী মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো কিছু এফপিআই কর্মী। কিন্তু দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ায় মামলাটি তুলে নেয় মামলার বাদি। ফলে বিপুল অঙ্কের টাকা কামাই বন্ধ হওয়ায় মামলার বাদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করছে চক্রটি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এফপিআই ও এফডব্লিউএদের কিছু দাবি দাওয়া মেনে না নেওয়ার কারণে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিরুন্নেছা সুমী বাদী হয়ে পৃথক পৃথক তিনটি মামলা করেন। যার দাবির মধ্যে ছিলো এফপিআই ও এফডব্লিউএদের নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন, নিয়োগ বিধি না হওয়া পর্যন্ত প্রমোশন বন্ধ রাখা। মামলাগুলো চলমান অবস্থায় মন্ত্রণালয় মাঠকর্মীদের এ যৌক্তিক দাবি দাওয়া মেনে নেয়। ফলে আন্দোলন ও মামলা চালানোর প্রয়োজনীয়তা না থাকায় মামলা তুলে নেন মামলার বাদী। মামলা তোলাকে কেন্দ্র করেই মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাকিরুন্নেছা সুমী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু করে পক্ষটি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের করা মামলার নাম করে ঢাকা মিরপুর থানার এফপিআই কর্মী রেদয়ানুর রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এফপিআই কর্মী প্রতিনিয়ত দেশব্যাপী চাঁদা তোলে। বিপুল অঙ্কের এ চাঁদার টাকা তারা পকেটস্থ করতো। কিন্তু মামলা তুলে নেওয়ার পর তারা আর এ চাঁদাবাজী কার্যক্রম চালাতে না পারায় ক্ষুদ্ধ হয় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিরুন্নেছা সুমী’র ওপর। এরই মধ্যে চলমান কার্যক্রমে ঢাকায় অবস্থান করাকালীন সময়ে জাকিরুন্নেছার সাথে সরাসরি দেখা করে এফপিআই কর্মী রেদয়ানুর রহমান। এ সময় জাকিরুন্নেছার কাছে ৫০হাজার টাকা দাবি করে সে। এও জানিয়ে দেয় যদি টাকাটা না দেওয়া হয় তাহলে গোপনে রেকর্ডকরা সমিতির ইন্টারনাল মিটিংয়ের কথাবার্তা ফাঁস করে দিবে। এরই মধ্যে একটি আলোচনায় মাঠ কর্মচারী সমিতির সকল দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে মামলা তুলে নেন জাকিরুন্নেছা সুমী। এ মামলা তোলাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। শুরু হয় হয়রানি।এবং এই চক্রটি নিয়োগ বিধির তৈরিতে খরচ করার নামে মাঠ কর্মচারিদের কাছ থেকে চাঁদ উঠানোর জন্য নতুন করে ফন্দি আঁটে ও নতুন করে আবারও একটি মামলা দায়ের করে । এই চক্রটি দাবিকৃত টাকা না পেয়ে এফপিআই কর্মী রেদয়ানুর রহমান, মাসুদ পারভেজ ও মুজিবুর রহমান টিটু গোপনে রেকর্ডকরা সমিতির ইন্টারনাল মিটিংয়ের কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। সামাজিক ভাবে হেয় করা শুরু করে । ফেসবুকে বিভিন্ন সময় সুমীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে রেদয়ানুরের অনুসারী চুয়াডাঙ্গার এফপিআই কর্মী মাসুদ পারভেজ, ভোলার এফপিআই কর্মী মজিবুর রহমান টিটু, সিলেটের এফপিআই কর্মী জসিমুদ্দিন, লালমনির হাটের এফপিআই কর্মী মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ির এফপিআই কর্মী কামরুজ্জামান, ফরিদপুরের এফপিআই কর্মী নাজমুল আহসানসহ, কাজী সাইফুল কুমিল্লা, আবদুল বাসেত ফারুক ময়মনসিংহ সহ আরও বেশ কয়েজন। যা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে নারী হিসেবে সামাজে হেয় হচ্ছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। যা সরকারি চাকরি বিধান অনুযায়ী শৃংখলা ভংগের প্রকৃত উদাহরণ। এ বিষয়ে জাকিরুননেছা সুমি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছেন।