চট্টগ্রাম ব্যুরো: 'মহান বিজয় দিবস ২০২১' এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৯শে ডিসেম্বর রাত ৯টায় চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের এক ভার্চুয়াল সভা ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ১০০০ এর বেশি বুদ্ধিজীবী। আজ আমি চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মাধ্যমে তাদের সবাইকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। আমরা চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি আগামীতেও করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যদি আমরা বিজয় না পেতাম, তাহলে আজ আমরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে যে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছি তা কখনোই সম্ভব হতো না। তিনি ছিলেন এ দেশের অসহায় নির্যাতিত মানুষের ভাগ্য উন্মোচনের ত্রাণকর্তা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণেই এ দেশ পরিচালনার সব দিক-নির্দেশনা বিদ্যমান ছিল এবং আজ এ দেশের যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে তা সবই বঙ্গবন্ধুর অবদান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার আজ ৫০ বছর পূর্ণ হলো। বিজয়ের এই দিনে নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালানোর হয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন এবং প্রাপ্তির মাঝে অন্যতম হচ্ছে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং যে সকল যুদ্ধাপরাধী বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আজিম উদ্দিন, শিল্পি শাহরিয়ার খালেদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কানিজ ফাতেমা, এজিএম জাহাঙ্গির, ইমতিয়াজ আহমেদ, তসলিম খাঁ, শাওন ইমতিয়াজ মির্জা, কামরুল ইসলাম, কাউসার ফারুক।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদতবরণকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ ছাড়াও জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।