নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামি থানা এলাকায় দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় বাসায় হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে স্বর্ণ, মোবাইলসহ মুল্যবান জিনিষ লুটপাট করে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এবিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিআর মামলা নং- ৭৯৭/২৩) মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয় তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মামলার বাদি বায়েজিদ থানার মুরাদনগর এলাকার এনজি করিম টাওয়ারের বাসিন্দা মো. দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা পুলিশের এক কমকর্তা। মামলার বিবাদিরা হলেন, বায়েজিদ থানার মুরাদনগর এলাকার এনজি করিম টাওয়ারের মো. মুছার পুত্র মামুনুর রশিদ (৩৮) ও মরহুম নুরুল হুদা সিকদারের পুত্র শাহিদুল আলম সিকদার (৪০), রৌফাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র আবদুল নবী লেদু (৬২), এনজি করিম টাওয়ারের আব্দুল করিম মিস্ত্রীর পুত্র মো. আবেদন হোসেন (৩৫) ও মৃত নজির শেঠের পুত্র ইদ্রিচ মিয়া (৫১) পশ্চিম শহিনগরের মোহাম্মদ রহমানের পুত্র মোহাম্মাদ সোহেল (২৭), রৌফাবাদ রেললাইন এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইছার পুত্র মো. ইউসুফ (২৮), এনজি করিম টাওয়ারের মাসুদ হাসানের পুত্র মাহামুদুল হাসান বাবু (২৬), রৌফাবাদ রেললাইন এলাকার মোহাম্মদ দেলোয়ারের পুত্র মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মুরাদনগর আবদুস সালাম কন্ট্রাক্টরের বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মেহেদী হাসান ইমন (২১) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন। আদালতে দেয়া মামলার আর্জি থেকে জানা যায়, বিবাদীরা বাদিকে ঘর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে অবস্থা বুঝতে পেরে তিনি স্থানী বায়েজিদ বোস্তামি থানায় দুটি জিডি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। যা বর্তমানে তদন্তনাধীন আছে। গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে উল্লেখিত বিবাদীরা একত্রে জড়ো হয়ে বাদির এনজি করিম টাওয়ারের ৯ম তলার বসতঘরে গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি তাদের চাহিত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা বাসায় ভাঙচুর করিয়া জিনিষপত্র লুটপাট করবে বলে জানায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদিরা কাটার মেশিন দিয়ে ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বাসার লোকজনের সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ দামি জিনিসপত্র লুট করতে থাকে। পরে বাদি জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রমান পায়। পরে বিবাদিরা বিভিন্ন রকম হুমকী দিয়ে লুট করা মালামাল নিয়ে চলে যায়। এব্যপারে মামলার বাদি মো. দিদারুল আলম বলেন, এটা একটা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী চক্র। এরা আইন কানুন কিছু মানেনা। আমি তাদের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েও প্রতিনিয়ত আতঙ্কে আছি। আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।