মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম:
করোনা রোগের কারণে পুরো দেশের মানুষ যখন লকডাউনে ঘরবন্দি মুসলমানেরা পবিত্র রমজানে এবাদতবন্দিগিতেরত সারা দেশের অধিকাংশ শিল্প কলকারখানা অফিস আদালত বন্ধ বিদ্যুতের চাহিদা একেবারেই নাই বলেলও চলে। সেখানে ঘন ঘন লোডসেডিং হয়ে সাধারণ মানুষের কাজে বিঘœ ঘটাচ্ছে। যেখানে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুতের লোডসেডিং হওয়া দুঃজনক বলে একাধিক মানুষের মন্তব্য করেন। দিনের বেলায় একাধিকবার লোডসেডিং হলেও রাতের বেলায় তার মাত্রা বৃদ্ধি থেকে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার অর্ন্তগত উপজেলা সমূহতে বিদ্যুতের মেরাথন লোডশেডিং লেগে থাকে। বোয়ালখালী, পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দঁনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, রাউজান, মিরাশরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়াসহ তারও পাশ্ববর্তী এলাকায় রাতেবেলায় বিদ্যুতের দেখা মেলে না। যেসব উপজেলায় পল্লিবিদ্যুৎ রয়েছে, তারা প্রতিনিয়ত মেরাথন লোডশেডিং এর বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছে। লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুতের বাতি না জ্বললেও বিলের ক্ষেত্রে কমতি নেই বলে অসংখ্য ভুক্তিভোগী গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন। গ্রামে বড়ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় কৃষি ও অবৈধ ইটভাটায়। কিন্তু এই বর্ষার মৌসমে কৃষিতে এবং ইটভাটায় বিদ্যুতের প্রয়োজন হচ্ছেনা। অন্যদিকে কাপ্তাই জ্বলবিদ্যুতে পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রামের একাধিক কুইক রেন্টার বিদ্যুৎ প্রকল্পেও চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর পরও রহস্যজনক কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি লোডশেডিং এর এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে চট্টগ্রামের শিল্প কলকারখানা সমস্ত অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে শপিংমলগুলো খুলে যাওয়ার পর লোডশেডিং এর মাত্রা কত পরিমান আরও বৃদ্ধি হতে পারে তার পরিসংখ্যান পাচ্ছেনা বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামে দায়িত্বরত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (নাম বলা অনিচ্ছুক) একাধিক কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি হাওয়ার কারণ বিষয় উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন থাকলেও তাদের গাফিলতির কারণে জানতে চাইলে তা তারা অশ্বিকার করেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং এই মূহুর্তে কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তারা জানান। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, করোনার কারণে বিদ্যুৎ প্রকল্পের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীরা আগেরা মত দায়িত্ব পালন করে না। তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক এক কর্মকর্তা বলেন, ডাক্তার, পুলিশ, সংবাদ কর্মী যেমন দেশ এবং জাতীর স্বার্তে জরুরি ভিত্তিতে সার্বিস দিয়ে থাকেন তেমনি বিদ্যুৎ কর্মচারীরা অধিক জরুরি সেবাদিয়ে আসছেন। এই করোনা সংক্রামনে বিদ্যুৎ সেবকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দিন দিন গরমের তাপমাত্রা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে লোডশেডিং অব্যহত থাকলে লকডাউনে থাকা ঘরবন্দি মানুষেরা অস্বস্থিতে ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস গ্রহক কল্যান সমিতির সভাপতি এক মন্তব্যে বলেন, লোডশেডিং বন্ধের পাশাপাশি বিদ্যুতের ভুতড়ে বিল ইস্যু করা বন্ধকরতে হবে। যেসব অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারণে বিদ্যুতের সিস্টাম লস হচ্ছে তা তদন্তপূর্বক দুর্নীতিবাজদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।