
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা ইজতেমার আয়োজন হয় গড়েরর কান্দার মন্টু সাহেবের পরিত্যক্ত ইটভাটায়। শনিবার ছিলো শেষ দিন। গতকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ ইজতেমা শেষ হয়। কিন্তু এরই মধ্যে শনিবার রাতে ঘটে যায় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, এক প্রভাবশালীর বখাটে ছেলে ও তার বন্ধুরা মিলে রাতে ইজতেমা প্রাঙ্গনের অনতিদ‚রে অবস্থিত মনোহারির দোকানের আগত মহিলা ও যুবতীদের ইভটিজিং করে। পরিস্থিতি শ্লীলতাহানী পর্যন্ত পৌছায়। সেখানে টহলরত পুলিশের নজরে বিষয়টি আসলেই ইভটিজারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। এসময় পুলিশ এ্যাকশন নেওয়া মাত্রই পালিয়ে বাঁচে ইভটিজাররা।
স্থানীয় গৃহিনী রঞ্জিতা জানান, রাতে আমরাসহ আমাদের এলকার অনেক মহিলা ও যুবতী ইজতেমার এসব মনোহারির দোকান থেকে বিভিন্ন পন্য কিনতে আসি। এসময় কয়েকজন বখাটে এসব দোকানে ঘুরতে আসা মহিলা ও যুবতীদের অশ্লীল ইঙ্গিত দেয়। দলছুট এক যুবতীকে একা পেয়ে তারা তার সাথে খারাপ আচরন করতে থাকে। এসময় সে যুবতীর সাথে তাদের ছবিও তোলে। সে সময় যুবতীর শ্লীলতা হানির চেষ্টা চালায় তারা। তার স্পর্শকাতর অঙ্গে স্পর্শ করে। পরে তার চিৎকারে ও স্থানীয়দের সহায়তায় টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ইভটিজাররা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক যুবক জানায়, প্রভাবশালী পিতার ছেলে ছোট্টু, বাপ্পী ও তাদের বন্ধুরা মিলে এসব অপকর্ম করে। পুলিশ এসে তাদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে ওই স্থানে বসা সকল মনিহারির দোকানীরা জানান, এ ঘটনার পর থেকে এখানে মহিলা ও যুবতীরা আসা বন্ধ করে দেয়ায় আমরা ক্ষতির মুখে পড়ি।
এবিষয়ে জানতে ঐ স্থানের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মি. তারেক জানান, ‘আমাদের সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তায় ছিলো। এসময় ১০-১৫জন যুবক ইজতেমার বাজারে আসা যুবতী ও মহিলাদের ইভটিজিং করছিলো। তৎক্ষনাত পুলিশ সদস্যরা ঐ স্থানে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’