- গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- টাকা ফেরত না দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ছনকা বাজারে প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রগতি পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, প্রগতি এস.আর.সি.সি. লি. এর নামে অমল মণ্ডল ও তার স্ত্রী বাসন্তি রাণী মণ্ডল গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অধিক লাভের প্রলোভনে টাকা আদায় এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাদের প্ররোচণায় পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাশ, তার স্ত্রী চেয়ারম্যান ইতি রানী বিশ্বাস ও সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঞ্চয়কৃত শত কোটি টাকা নিয়ে লোপাটের ঘটনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এদিকে, ঘোনা ইউনিয়নের ভিক্ষুক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ দিনমজুরসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে আনুমানিক দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই চক্রটির বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের মহিলারা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করে ডিম বিক্রির টাকাগুলোও প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি ঘোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের জমা দিয়েছেন। এছাড়া ভিক্ষুকরাও তাদের জমানো অর্থকড়িগুলো এই অফিসে জমা রেখেছে। নানান কৌশলে গ্রামের সাধারণ মানুষের জমি বিক্রি করেও ডিপিএস করিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। সম্প্রতি গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ ফেরত পাচ্ছে না। কিন্তু ডিপিএস ও সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় গ্রাহকরা জানান, নাছিমা, দেবী রাণীসহ একাধিক মাঠকর্মী অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ম্যানেজার অমল তার চাচাতো ভাই গোবিন্দের কাছ ৪ লক্ষ টাকা, গোবিন্দের মেয়ের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা দেয় এবং গোবিন্দের জামাইয়ের ১ লক্ষ টাকা নেয়। এখন টাকা চাইলে অমল তাদের কাছ থেকে আরো ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি লিখে দেবে বলে জানা গেছে।
ভিক্ষুক জামিলা খাতুন জানান, আমার অতি কষ্টের উপার্জিত ৪০ হাজার টাকা দ্বিগুন দেওয়ার প্রলোভনে রাধা রাণী নিয়ে দেয়। এক সপ্তাহ আগে আমি টাকা চাইলে ম্যানেজার অমল ও তার স্ত্রী বাসন্তি রাণী আমাকে হাকিয়ে বের করে দেয়।
তাছলিমা খাতুন নামের এক গ্রাহক জানান, আমি রাধা রাণীর মাধ্যমে প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার জমা রাখি। বর্তমানে আমার ফুসফুস নষ্ট হওয়ায় ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। আমার টাকা ফেরত চাইলে তারা এখন নানান টালবাহানা শুরু করছে। গত ২০ ডিসেম্বর দেওয়া কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত টাকা দেয়নি। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের উর্দ্ধত্বন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।