জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে। দীন মজুর ও খেটে খাওয়া মুসল্লিদের দানের টাকায় মসজিদের কাজ চলছে। কাজ শেষ করতে ২০ লক্ষ টাকা কম পড়তে পারে।
গোয়ালডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া গ্রামে ৪৫ টি পরিবারের বসবাস। অধিকাংশ পরিবারের মানুষ দীন মজুর। ৬/৭ হাজার মানুষের বসবাস গ্রামটির কর্মক্ষম অধিকাংশ মানুষ স্বল্প আয়ের। কাছাকাছি কোন মসজিদ না থাকায় ২০১০ সালে বাঁশের খুটির উপর গোলপাতা ছাউনি দিয়ে মসজিদ স্থাপন করা হয়। ছোট আকারের মসজিদটিতে গ্রামের মুসল্লিরা খুশি মনে নামাজ আদায় করতেন। ২০১৫ সালে ইটের গাথনির পাকা ভীত ও দেওয়ালের উপর টিনসেড মসজিদ নির্মান করা হয়। দিনে দিনে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া ও আশপাশের মসজিদগুলো পাকাকরণ দেখে তারাও মসজিদ সম্প্রসারনের সিদ্ধান্ত নেন। চলতি বছরে শুরু হয় নতুন মসজিদ নির্মানের কাজ। ৪৫ ফুট লম্বা ও ৩৫ ফুট আড়ের ভিত নির্মান কাজ করা হয়। গ্রামের মানুষ তাদের সাধ্যমত টাকা যোগান দিতে কার্পন্য করেননি কেউ। ভিত ও পিলার নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের গচ্ছিত ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। পিলার, বিম ও ছাদের কাজে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। কিন্তু অত টাকা তাদের পক্ষে যোগান দেওয়া একেবারেই অসম্ভব। গরীব মহল্লার মানুষের স্বপ্নের মসজিদটির কাজ সম্পন্ন করা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। মসজিদটির কাজ সম্পন্ন করতে এখন তারা তাকিয়ে আছেন ধর্মপ্রাণ, দয়ালু, দানশীল মানুষের দিকে। দেশ বিদেশের দানশীল সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ মসজিদটিকে পুর্ণতা দানে এগিয়ে আসবেন এমন প্রত্যাশা বুকে ধারন করে তারা তাকিয়ে আছেন। অনেকের তিল তিল অনুদান মসজিদটিকে পরিপূর্ণ অবয়বে সুন্দর পরিবেশে গড়ে তুলতে পারে। মসজিদের জন্য দান আপনাকে আমাকে কাল কিয়ামতে পরিত্রাণের পাথেয় হতে পারে। যারা মসজিদের জন্য দান করতে আগ্রহী তাদেরকে মসজিদ কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম মোড়ল (মোবাঃ ০১৭৬৪৯৭১২৭১) ও ইমাম হাফেজ মোঃ তাওহীদুল ইসলাম (০১৭৫৮৮৩৭৪৬৩) এর সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।