সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁর নিয়ামতপুরে চাহিদামত যৌতুক না পাওয়ায় এক গৃহবধূর চুল কেটে নির্যাতন করায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ এখন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১৬ বছর আগে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল সোনারপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী। এরমধ্যে ১ লাখ টাকা দাবী করে গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গত ১৫ ডিসেম্বর গৃহবধূর শাশুড়ি মোছা. রহিমা (৫০) এর প্ররোচনায় স্বামী আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় যৌতুক দাবি করে মাথার চুল কেটে দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না নির্যাতিতাকে। গৃহবধূর মা দেখা করতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনার মেয়ে ভালো আছে, আগে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসেন তারপর দেখা করেন।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে আবারো শাশুড়ির প্ররোচনায় স্বামী আব্দুর রাজ্জাক শারীরিক নির্যাতন করে মাটিতে ফেলে রাখে।
প্রতিবেশীর মাধ্যমে মা সংবাদটি পেয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে মাকে গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে দেয় না। বুধবার দুপুরে নিরুপায় হয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন মা। পুলিশ তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় গৃহবধূর মা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।