
মাসুদুর রহমান মাসুদ: ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা গার্মেন্টস কর্মী নিলুফার কারনে আশাশুনিতে ৯ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আশাশুনিতে পৌছে আত্মগোপনে থাকার জন্য সে যে সকল বাড়ীতে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছিল মূলত: সেই বাড়ি ও তার রপার্শ্ববর্তী বাড়িগুলোই লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। এক নিলুফার নির্বুদ্ধিতার কারনেই ভুগতে হচ্ছে এ সকল পরিবারগুলোকে।
প্রকাশ থাকে যে, গর্মেন্টসকর্মী নিলুফা ঢাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসে পিত্রালয় বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামে অবস্থান নেয়। লোক জানাজানির পর সেখান থেকে সে কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। পুলিশের নিরলস পরিশ্রমে অবশেষে গভীর রাতে তাকে কুল্যার মহাজনপুর গ্রামের একটি ঘেরের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঐদিন রাতেই ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছিল। পরদিন তার অবস্থান নেওয়া আরও ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
বাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে তার পিতা বেউলার জামাল মোড়ল, পার্শ্ববর্তী পরিবার ইয়াছিন আলি ও লিটনের বাড়ি এবং আত্মীয় আগরদাড়ি গ্রামের একরাম, শহিদুল, আঃ সালাম, আঃ কুদ্দুছ, আনিছুর রহমান ও মহাজনপুর গ্রামের আক্তাাংল এর বাড়ি ।
লকডাউনকৃত বাড়িতে গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশী টহলও থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হঢয়ছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোজখবর রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এর ব্যবস্থা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে তাদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা চেক করা হবে ও করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা প্রশাসন হতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।