আহাদুর রহমান:
উপজেলা প্রশাসন, গাছের পাঠশালা ও তুজলপুর কৃষক ক্লাবের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হলো ভ্রাম্যমান বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য এখান থেকে বাজারদর ছাড়াও কম দামে পাওয়া যাবে। এছাড়াও রাখা হয়েছে হোম ডেলিভারির সুবিধা। তার জন্য কোন প্রকার চার্জ কাটা হবে না। সরাসরি ক্ষেত থেকে ক্রেতার ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে টাটকা সবজি। এ ছাড়াও সকলের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে হেলেঞ্চা, কচু, কলমি সহ বিভিন্ন দেশিয় শাক দেয়া হয়েছে।
আজ ২৮শে এপ্রিল মঙ্গলবার উদ্বোধন হয় এ বাজারের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন, গাছের পাঠশালার পরিচালক ইয়ারব হোসেন, কৃষকক্লাবের সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, কৃষকক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আব্দুল খালেক, ব্যবসায়ী আব্বাস আলী, অলক ঘোষ, যুবলীগ নেতা আব্দুর রশিদ সহ অন্যান্যরা।
এসময় গাছের পাঠশালার পরিচালক ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন বলেন, এরকম উদ্যোগ নিয়ে আত্মতৃপ্তি পাই। আজ সরবরাহের থেকে চাহিদা বেশি ছিল। আগামীকাল থেকে সরবরাহ বেশি করব। এছাড়াও মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা আজ হেলেঞ্চা শাক ও কচুশাক বিনামূল্যে দিয়েছি। আগামীকাল থেকে কলমি সহ আর অনেক শাক বিনামূল্যে দিব।
দক্ষিণ পাথরঘাটার গৃহবধূ রহিমা খাতুন জানান, এখান থেকে অনেক কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনা যাচ্ছে। এরকম উদ্যোগ কে আমরা সাধুবাদ জানাই।
আরও পড়ুন:
আরিজুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। এখান থেকে ২০০ টাকা পন্য কিনলে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেচে যায়। আরও বাসার সামনে থেকে কিনতে পারব।
প্রায় একই সুরে কথা বলে ভ্রাম্যমান বাজার থেকে ক্রয় করতে আসা বাবলু হোসেন, শুকুর আলি, আমেনা খাতুন সহ অনেকে।
আজ এই বাজার তুজলপুর, মোহনপুর, বিহারিনগর, ঝাউডাঙ্গা, ওয়ারিয়া, দক্ষিণ পাথরঘাটা, হাজিপুরে ঘুরে ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে। আগামী কাল থেকে এর পরিধি আরও বাড়বে। উপজেলা প্রশাসন, গাছের পাঠশালা ও তুজলপুর কৃষকক্লাবের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান বাজার থেকে হোম ডেলিভারি পেতে হটলাইন নম্বর 01711 842484।