স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
প্রত্যেক নারীর জীবনেই এক বিশেষ সময় প্রেগন্যান্সির এই নয় মাস। নিজের শরীরে একটা প্রাণের তিলে তিলে বেড়ে ওঠার মতো অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারেন না অনেক হবু মা-ই। ভয়-আনন্দ-উৎকণ্ঠা মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করে সবার মধ্যে।
এমন অবস্থায় সন্তানের সুস্থতা এবং নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হবু মা-কে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। প্রিয় খাদ্যগুলো ডায়েট থেকে বাদ চলে যায় এবং যেগুলো একবারেই খেতে ভালো লাগেনা, অনিচ্ছা সত্বেও সেগুলোই খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হয়।
তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়ই সুস্থ থাকতে হলে বেশ কিছু পানীয় নিয়মিত খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক…
ডাব
ডাব সবচেয়ে পুষ্টিকর ও রিফ্রেশিং প্রাকৃতিক পানীয়। ডাবে থাকা সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ লবণগুলো ভ্রুণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের মূল নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, ডাবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে। অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় অনেক নারীই অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ডাব এই সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে।
টাটকা ফলের রস
ফলের রস গর্ভবতী নারীদের ডায়েটরি ফাইবার সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের মৌসুমী ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। প্রায় সব ফলই আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে, যা ক্রমবর্ধমান শিশুর জন্য অপরিহার্য।
স্যুপ
গর্ভাবস্থা বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। স্যুপ আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং গর্ভাবস্থায় যে সব নারীরা খাবার খেতে চান না, তাদের ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রকলি, গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, টমেটো, এই সব সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ দেহে প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করে।
বাটারমিল্ক
বাটারমিল্ক বা ঘোল পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং গর্ভাবস্থায় অম্বলের সমস্যা দূর করে। ঘোল আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে। গরমকালে দিনের বেলা এই পানীয় খেলে শরীরে তরল এবং লবণের ঘাটতি দূর হয়।
দুধ
দুধ হল ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভাবতী নারীদের নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া আবশ্যক।
শাকসবজির রস
ফলের রসের মতো, শাকসবজির জুস করেও খেতে পারেন। শাকসবজি ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস। এর জন্য গাজর, বীট, শসা এবং পালং শাক ব্যবহার করতে পারেন।