মোঃ আকবর হোসেন, তালা: তালা জরাজীর্ণ খেশরা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের বেহাল দশা। জায়গা স্বল্পতার কারনে ০২ইউনিয়নে জনগনের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা বরাদ্ধ হলেও বিন্দু মাত্র কাজ করেনী কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত বৎসরের পুরোনো মানদাত্তা আমলের জরার্জীর্ণ কুটিরে খুপড়ীর মধ্যে বসে আছেন নায়েব। জালালপুর ও খেশরা ২ ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা সম্পত্রি খাজনা আদায়সহ জনগুরত্বপূর্ণ কাজ করছেন নায়েব যতীন্দ্রনাথ সরকার। খুপড়ীর মত ১৫/১০হাত এর জরাজীর্ণ ঘরটিতে ৫টি আলমারী, ০৩টি বড় র্যাক, ২টি টেবিল দিয়ে ঘেরা ১রুম বিশিষ্ট ঘর। যেখানে ভুমি কর্মকর্তা ও তার সহকারী বসলে সেবা নিতে আসা মানুষের বসার কোন জায়গা থাকেনা। সামনে ৩/৪টি চেয়ার দিলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কাঁছারী ঘরে খাঁজনা দিতে আসা সূধীজনকে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহিরে অপেক্ষা করতে হয়। বাহিরে বারান্দা ছোট হওয়ায় বৃষ্টির দিনে অনেককে দাড়িতে থেকে ভিজতে হয়। বাহিরে একটি গোলঘর করার জন্য সরকারীভাবে ১লক্ষ৭০হাজার টাকা বরাদ্ধ হলেও সেটা আলোর মুখ দেখিনি। বিন্দুমাত্র কাজ করা হয়নি সেখানে। টাকার কোন হিসাব নাই। বিষয়টি খতিয়ে দেখলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন এরঅকাবাসী। তাহাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারনে দুর-দুরন্তে থেকে আসা জমির মালিকদের চরম ভুগান্তিতে পড়তে হয়। প্রাচীন ঐতিহŰবাহী বৃহৎ ভুমি অফিসটি টিন ছিদ্র হওয়ার কারনে বৃষ্টি পড়ে উঁইপোকার দ্বারা মুল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অফিসে রক্ষিত ল্যাপটব,স্কানার, প্রিন্টার,দাখিলাসহ অন্যন্য রেকর্ড-রেজিষ্টার জরাজীর্ণ হওয়ায় সংরক্ষন করা দুরহ হয়ে দাড়িয়েছে। জায়গা স্বল্পতার কারনে চলমান জরীপে প্রাপ্ত বিএস খতিয়ান বহি ও নতুন রেজিঃ-২ আলমারী স্থাপন করে সংরক্ষন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এমতাস্থায় জরুরী ভিত্তিতে মাষ্টার প্লান অনুযায়ী নতুনভবন স্থাপন করা জরুরী বলে মনে করেন এলাকার জমির মালিকরা। এছাড়া ১লক্ষ৭০হাজার টাকা কোথায় গেল, কে এর জন্য দায়ী, তা খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠিনশাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুশিলসমাজ তথা এলাকাবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে, খেশরা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা যতীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, আমার এখানের কাঁছারী ঘরের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। প্রাচীন ঐতিহŰবাহী বৃহৎ ভুমি অফিসটির মধ্যে হাজার হাজার বিঘা জমির গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র। বৃষ্টির পানি পড়ে উঁইপোকার দ্বারা মুল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমতবস্থায় একটি নতুনভবন নির্মান করা জরুরী। এছাড়া খেশরা কাঁছারী ঘরে ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা বাজেট হয়েছিলো। ঠিকাদার এসে মেপে গিয়েছিলো। কিন্ত কাজ করেনী। পরে জানতে পারি নিদিষ্ট সময়ে কাজ না করার ফলে টাকা ফেরত গেছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।