
খুলনা প্রতিবেদক: খুলনায় একযুগ আগের ধর্ষণ মামলায় রফিকুল ইসলাম ঢালী নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে ডিএনএ টেস্টের প্রমানের ভিত্তিতে ওই ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দেওয়ারও সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আঃ সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি রফিকুল ও ভিকটিম একই এলাকার বাসিন্দা ও পরস্পর প্রতিবেশি। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করেন রফিকুল। ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলেও সেসময় হুমকি দিতে থাকে আসামি।
পরে রফিকুলকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সোনাডঙ্গা থানাপুলিশ।
২০১০ সালে ওই নারী একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির বয়স এখন ১২ বছর। সে এখন খুলনার একটি সরকারি স্কুলে পড়ে।
রায়ের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ নিশ্চিত করে বলেন, একযুগ আগে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন (৩) আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম খান এই রায়ের মাধ্যমে একটি নজির সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুটি তার পিতার পরিচয় পেলো। এবার আদালতে শিশুটি এবং তার মায়ের বারো বছরের খোরপোষের (স্ত্রীর আইনগত অধিকার) মামলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ওই সন্তান পিতৃ পরিচয় পেয়েছে। এটা তার জন্য বড় প্রাপ্তি। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।