মেহেদী হাসান, খুলনা: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে খুলনার গোবরচাকা এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন যুবক ইমন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করলেও মূল আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। খুলনার সোনাডাঙ্গার গোবরচাকা এলাকায় বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমন শেখ। এসময় ৫-৬টি মোটর সাইকেলে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ইমন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। স্বজনদের দাবি, মাদক বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। এ ঘটনার পেছনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পূর্ব শত্রুতার অভিযোগ এনে রাতেই নিহত ইমনের বাবা বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ১৭ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাজমুস সাকিব জাকারিয়া(২৮), রিয়াজ (৩২), বুলু পাটোয়ারী (৩৫), আকাশ হাওলাদার (২০) ও আপন খাঁ (২২)। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পাঁচজন আটক হলেও হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ মূল আসামিরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ‘মূল আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পারলে হত্যাকাণ্ডের কারণ বলা যাবে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত ইমন খুলনায় কলেজে অনার্স পড়তো, পাশাপাশি রং মিস্ত্রির কাজ করতো।’