
লিটন ঘোষ বাপি: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খেঁজুরবাড়ীয়া গ্রামের কৃতি সন্তান,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজ সরকারি করণের নেপথ্যের গুরুত্বপূর্ণ কারিগর মো: সফিকুল আহম্মদ কে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কলেজের সভাপতি ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক ও রোভার স্কাউট লিডার মো: আবু তালেব’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোল্লা সাবীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: মোতাহার হোসেন। কলেজের শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো: মইনুদ্দিন খান এবং একই বিষয়ের সিনিয়র প্রভাষক মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন)।
কলেজের রোভার স্কাউটস সদস্য ও স্টাফদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে শুরুতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংবর্ধিত অতিথির বাল্যবন্ধু ও ভূগোল বিভাগীয় প্রধান মো: আব্দুল আজিজ। সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ব্যব¯’াপনা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান শেখ মিজানুর রহমান। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আলহাজ্জ মোঃ আকবর আলী। গীতা পাঠ করেন প্রভাষক প্রদিপ কুমার মন্ডল।
সংবর্ধিত প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে ১০ জানুয়ারি আজকের এ দিনটি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার অবদানের কথা বিনম্র শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি পরিকল্পনা মাফিক সারাদেশের ন্যায় যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর নামের প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয়েছে। তবে আত্তীকরণ সহ অন্যান্য যে কাজ বাকী আছে সেগুলো এলাকার সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক, আমি যার যার অব¯’ান থেকে পূর্বের ন্যায় সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। কিন্তু উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ হিসেবে আপনাদেরও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পাঠদানকালীন প্রতিটি মুহূর্ত যেন হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান মনে করে পাঠদান সহ তাদের সাথে সে ধরনের আচরণ করার আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি হঠাৎ এধরণের অনাড়ম্বরপূর্ণ অথচ প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান করে তাকে সম্মান জানানোয় তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে কলেজের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত প্রধান অতিথি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তথা দেবহাটা উপজেলার প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ সচিব মো:সফিকুল আহম্মদ এর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোল্লা সাবীর হোসেন।
তিনি বিকালে নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর মাজার শরীফ জিয়ারত ও দোয়া করেন। দোয়া পরিচালনা করেন নলতা পাক রওজা শরীফের ভারপ্রাপ্ত খাদেম আলহাজ্জ মো: আব্দুর রাজ্জাক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো: মুজিবর রহমান, পাক রওজা শরীফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো: এনামুল হক খোকন, মিশন কর্মকর্তা আলহাজ্জ মো: মালেকুজ্জামান, মো: শফিকুল আনোয়ার রঞ্জু, খায়রুল হাসান, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: মোতাহার হোসেন, প্রভাষক ও সংবাদকর্মী মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন) প্রমূখ। পরে মিশন কর্তৃপক্ষের ফুলেল শুভেচছা ও আতিথেয়তায় অংশগ্রহণ করে নলতাতে বোনের বাড়ীতে গমন শেষে নলতা ত্যাগ করেন।
এর আগে সকালে সচিব মো: সফিকুল আহম্মদ পারুলিয়ার খেঁজুরবাড়ীয়া গ্রামে সচিব মহোদয়ের তহবিল থেকে সরকারিভাবে নির্মিত পাকা গৃহের মালিকদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর ও খেঁজুরবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দরিদ্র-অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।