নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা ভারত ও বাংলাদেশের একটি সিমান্ত জেলা। সদরের কুশাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যের মত প্রকাশ্য চলছে মাদকের ব্যবসা। ইউনিয়ন টি সিমান্ত এলাকায় হওয়ার কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে তরুণরাই। এসকল এলাকায় সকল ধরনের মাদক সরবরাহ করে থাকে বেশ কয়েকটি চক্র। এসব চক্রের রাঘব বোয়ালরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ আছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা আবার কেউ আছেন জনপ্রতিনিধির চেয়ারে।
গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় মদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকে জিরো টলারেন্স' বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা এসব মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চললেও বর্তমানে ঝিমিয়ে পড়েছে মাদক নির্ম‚ল এর কার্যক্রম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারো রমরমা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কুশখালী ইউনিয়নের একাধিক মাদক ব্যবসায়ী।
তনজিদ হোসেন কুশাখালী ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জন মাদক ব্যবসায়ী। মাস তিনেক আগেও গাঁজা ফেলে পালিয়ে যায় পুলিশের তাড়া খেয়ে। গাঁজা ও ফেনসিডিল ব্যবসা রয়েছে তার এ এলাকায়। প্রতিদিন শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে শতাধিক মাদকসেবী তার বাড়িতে যায় মাদক সেবন করতে । প্রশাসনের একটি দল কয়েক মাস আগে তার বাড়ি থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ তনজিদকে আটক করে।
একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভাদড়া গোয়াল বাড়ি এলাকার আর এক মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও তার ছোট ভাই ইমাম হাসান। প্রকাশ্যে ইসমাইল হোসেন বাড়িতে হাঁস-মুরগী পালন করেন এবং পুকুরে মাছ চাষ করেন। এসবের আড়ালে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা গাঁজা ফেন্সিডিল ব্যবসা। কুশখালী সড়কে কাস্টম মোড় পার হয়ে শিশু তলা এলাকায় নববধ‚ পার্লারের আড়ালে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা। ইসমাইলের ছোট ভাই ইমাম হাসানের স্ত্রীর মাধ্যমে সেখান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল। পার্লার ব্যবসা কে সামনে রেখে এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
একই ইউনিয়নের ভাদড়া এলাকার শাটার মিস্ত্রি বাদল চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে তার মাদকের ব্যবসা। সরকারের বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ থাকলেও এসব মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের থাবায় যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
সোহাগ (৩২) মাদকচক্রের সদস্য সোহাগ মোবাইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন মাদকসেবীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাদক সরবরাহ করে থাকে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে খুচরা বিক্রি করে সোহাগ।
এ বিষয়ে জানার জন্য ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহিন হোসেনের ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। (ধারাবাহিক প্রতিবেদনের বাকি অংশ দেখতে চোখ রাখুন সাতনদীর পাতায়)।