আবু হাসান, কেশবপুর: কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মরা গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের চলাচলে প্রচুর ঝুঁকি বেড়েছে। জেলা পরিষদ প্রচুর গাফিলতির কারনে আজ বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে প্রচুর ঝুঁকি বেড়েনি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন কালে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের দু'পাশে লাগানো জেলা পরিষদের লাগানো বড়ো বড়ো বিভিন্ন বনজ বৃক্ষ মরে যেয়ে তা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আর এখন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে মরা গাছের শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের ঘাড়ের ওপরে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। এার মধ্যে উপজেলার ভেরচী টু কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর টু রাজগজ্ঞ সড়ক,সাগরদাঁড়ি সড়ক, হাসানপুর টু বগা সড়ক, কেশবপুর টু পাঁজিয়া সড়ক, কেশবপুর টু ফতেপুর সড়কের পাশে লাগানো বড়ো বড়ো বিভিন্ন প্রকারের প্রচুর গাছ অনেক আগে মারা গেছে। আর এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ এভাবে মরে যেয়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এব্যাপারে সম্পুর্ন উদাসীন। জেলা পরিষদে প্রচুর গাফিলতির কারনে আজ বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে প্রচুর ঝুঁকি বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে মরাগাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক অমল কান্তি মন্ডল বলেন ভেরচী টু চুকনগর সড়কের ভেরচী বাজারের অদুরে অনেক গুলো মরা গাছ মারা গেছে এবং তার ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের ঘাড়ের ওপর পড়ে অনেকে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে মরাগাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে এক পথচারী পল্লী চিকিৎসক মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। এবিষয়ে গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান দৈনিক সাতনদীকে বলেন আমার ইউনিয়নের ভেরচী সড়কের দু'পাশে প্রচুর গাছ মরেযেয়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বহুবার লিখিত এমনকি মৌখিক ভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু আজ পরযন্ত কোনো ব্যবস্থা তাঁরা নেয়নি। গতকালও একজন ডাক্তার আহত হয়েছে। এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন সড়কে অনেক গাছ মারা যেয়ে শুকিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সড়ক গুলো চিহৃত করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদও খুব দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যাবস্থা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সাথে গতকাল সোমবার মুঠো ফনে আলাপ কালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিষয়টি আমি অনেক আগেই জেনেছি। শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের অনেক ঝুঁকি বেড়েছে। খুব শিঘ্রই মরা গাছ-গাছালি গুলো অপসারনের ব্যবস্থানেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।