
‘খুব ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ। নানার বাড়িতে থাকতে সূর্য ওঠার আগে মাঠে যেতাম। মরিচ কুঁড়ানো দেখতাম, ধান কাটা দেখতাম। আমি নিজেই ধান কাটতে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছি। এছাড়াও ধান মাড়ানো, ঢেঁকি ভাঙা এই বিষয়গুলো কৃষির প্রতি আমার আলাদা টানের সৃষ্টি করেছে। আর তাই আমি ছোট আকারে অনেকগুলো ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি কৃষিকে ঘিরে।’-ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে অবসরের পরে কী করতে পারেন তাঁরই যেন একটা ধারণা দিলেন বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।
এরমধ্যে নিজের নামে একটা ফাউন্ডেশন বানিয়েছেন। তা নিয়ে করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে সংকটে থাকা মানুষকে সাহায্য করে চলেছেন। ফাউন্ডেশনটার একটা শক্ত ভিত দিতে চান। তা নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা তার। ক্রিকেট ছাড়াও সাকিব অবদান রাখতে চান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে, ‘এই মুহূর্তে ভেবে বললে বলতে হয় আমার টার্গেট দুইটা। আমার ফাউন্ডেশন থেকে একটা ক্রিকেট একাডেমি চালু করতে চাই। যেটা করবো বলে ফাউন্ডেশন চালু করেছি। তবে আমার দেশের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুইটা খাতেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এই তিনটা জিনিস আমি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করতে চাই।’
সম্প্রতি সাকিবের কাঁকড়া হ্যাচারি একটি নেতিবাচক ঘটনায় আলোচনায় এসেছিল। ৩৩ পেরুনো সাকিব জানান এইগুলো কেবল শুরু করেছেন। উনি খেলা ছাড়ার পর সব দাঁড়িয়ে গেলে পুরোদমে নজর দিবেন এসব ব্যবসাতেই, ‘আমার কৃষি খাতের প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমার ছোট ছোট ব্যবসাগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। যদিও আমি এগুলোতে তেমন নজর দেয়নি। কিন্তু আমি চেয়েছি আমার খেলা শেষ হতে হতে যেন এগুলা দাঁড়িয়ে যায়। যাতে আমি অবসরের শেষে এসবে মনোযোগ দিতে পারি।’
এমনকি ফুল চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছেন সাকিব। কৃষিখাতে তার কর্মপরিধির বিস্তৃতি ছড়াতে পারে আরও নানা দিকে, ‘আমি ভবিষ্যতে গরু, ছাগলের ফার্ম, মাছ বা কাঁকড়ার হ্যাচারি দিয়ে হলেও কৃষিখাতে অবদান রাখতে চাই। আসলে কৃষির যে কোনো শাখা হতে পারে। যেমন ফুলও হতে পারে। আমি এজন্য ৪০-৫০ শতক জায়গা জুড়ে ফুল চাষ শুরুও করেছিলাম। ভালোই চলছিল। যদিও করোনার কারণে তা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’