কুলিয়া(দেবহাটা)প্রতিনিধি:
দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ হতে না হতেই স্পেন ভেঙ্গে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদ্রাসার সুপারের দুর্নীতির কারনে এই স্পেন ভেঙ্গে পড়েছে।
জানা যায় যে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩ কোটি সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে মাদ্রাসার ৪তলা ভবন নির্মাণের কাজ। ভবন নির্মাণের কাজ তদারকী করছে মাদ্রাসার সুপার নিজেই। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হতে না হতেই গত শনিবার সকালে স্পেন ভেঙ্গে আহত হয়েছে দুইজন ব্যক্তি। তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায় এলাকাবাসী, কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কিভাবে ভেঙ্গে গেল এই স্পেন? এই সুপার মাওলানা আ: কুদ্দুস একাধীক সহিংসতা মামলার আসামী ও জামায়াতের অর্থদাতা। তার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে তান্ডব চালানো হয়েছে। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ হয়েছে। তার পরিচালনায় যদি ভবন নির্মাণ হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তার উপর বিশ্বাস রাখা অনেক কষ্টকর। কারন তার বিরুদ্ধে অনেক অর্থ কেলেঙ্কালীর অভিযোগ আছে
জানা যায় যে প্রায় ৭মাস আগে কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসায় এক শিক্ষকের বলৎকারকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। অভিভাবকরা জানান, বর্তমানে মাদ্রাসায় কোন ম্যানেজিং কমিটি নেই। কিন্তু কারো কোন তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটি ছাড়াই সমস্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সুপার তার স্বার্থ পূরণের জন্য। আমরা বার বার ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কথা বললেও সুপার আমাদের কোন কথা শোনে না বরং বলে কমিটি গঠন করে কি হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে এখানে কোন নিয়ম নীতি নেই। এই সুপারের খুঁটির জোর কোথায়? তারা আরো জানান, এই মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো কিন্তু সুপারের কারনে সেটাও আজ নেই। এবিষয়ে কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আ: কুদ্দুসের মোবাইলে ফোন দিলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। উক্ত মাদ্রাসায় ম্যানিজিং কমিটি গঠন ও নির্মাণ কাজ সুষ্ঠভাবে করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।