
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়ায় জমি বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে খাসখামার গ্রামের মৃত ফজর মোড়লের ছেলে মো: সিরাজ মোড়ল। সূত্রে জানা যায় খাসখামার গ্রামের মৃত ছামছদ্দীন গাজীর ছেলে প্রতিবন্ধী মো: রওশন আলী বহেরা মৌজার ডিপি ৭৩০ খতিয়ানের ৮৩৯ দাগে সাড়ে ৫শতক জমি নেওয়ার জন্য খাসখামার গ্রামের মৃত ফজর মোড়লের ছেলে মো: সিরাজ মোড়লের সাথে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। সেই সূত্রে গত ১৯/৩/২০১৯ তারিখে রওশন আলী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৬/১১/২০১৯ তারিখে ৬০হাজার টাকা বায়না করে। সেই সূত্রে সেই জমিতে ছোট্ট একটি কুড়েঘর করে রওশন আলী। এবং পরে বাকি টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিষ্ট্রি চাইলে বিক্রেতা সিরাজ মোড়ল ভুক্তভোগি রওশন আলীকে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগি প্রতিবন্ধী রওশন আলী গাজী বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী দুইজনই প্রতিবন্ধী। অনেক কষ্টে আমরা জীবনযাপন করছি। একটু মাথায় ঠায় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নিয়ে সিরাজকে দেয় জমি ক্রয় করার জন্য কিন্তু বায়না দিয়ে এখন সে জমিও ভোগ করতে পারছিনা। সিরাজ একজন লোভী। আমার টাকা নিয়েও আমাকে জমি লিখে দিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন এই জমিতে একটি ছোট ঘর করার জন্য খাসখামার গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক আ: হামিদ এবং ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী কিছু ইট দিছে এবং আমি কাজ শুরু করার সাথে সাথে বাধা দেওয়া শুরু করেছে ঐ সিরাজ। এবং আমাকে এখন বলছে তোর টাকা ফিরে নিয়ে নে জমি দিবো না। এখন আমাদের নামে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে সিরাজ মোড়লের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। এসময় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিরাজ দেড় লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছে এবং বাকি টাকা না দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে অন্যদিকে রওশন বলছে আমার টাকা দরকার নাই আমি জমি রেজিষ্ট্রি চাই। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি প্রতিবন্ধী রওশন আলী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।