সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সাতনদী ডেস্ক: পরাজিত প্রার্থীসহ কুচক্রী মহল কর্তৃক কলারোয়ার একমাত্র নারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একের পর এক চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করে হয়রানির প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা। তিনি বলেন, আমি কলারোয়া উপজেলার একমাত্র নারী এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। আমার স্বামী প্রয়াত চেয়ারম্যান তপন কুমার সাহা ছিলেন জয়নগর ইউনিয়নের অত্যন্ত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। তার চিন্তাধারা ছিলো অত্র ইউনিয়ন কে একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুতে তিনি সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জনগণ বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেন। আমি দায়িত্বভার গ্রহন করার পর আমার প্রয়াত স্বামীর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো ধারাবাহিক ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। আমারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে কিছু কুচক্রি মহল যৌথভাবে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার পায়তারা চালাতে শুরু করে। এর জের ধরে গত ২৭ জুন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ভিজিএফএর চাল চুরির অপবাদে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। অথচ ওই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এতে আমাকে ফাঁসাতে না পেরে এবং জনপ্রিয়তা হ্রাস করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ কে কেন্দ্র করে। আমার কন্ঠস্বর ক্লোন করে এডিটকরে নতুন ফাঁদপাতে। ওই এডিট করা কণ্ঠস্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহল যারা আমাকে সব সময় সাথে থেকে আমাকে পরিষদ চালানোর উৎসাহ যুগিয়েছেন, তাদের কে দোষারোপ করে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করার পায়তারা করছে।
আমি একজন গ্রামীণ সাধারন গৃহবধূ। সাধারন জনগণ যখন আমার মতো সহজ সরল গৃহবধূকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে। যা ওই কুচক্রী মহলের মতের বিরুদ্ধে হওয়ায় আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য, আমার উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত প্রার্থীরাসহ কুচক্রী মহলটি উঠে পড়ে লেগেছে।
প্রকৃত ঘটনাহলো এখন থেকে ৮/৯ মাস পূর্বে গ্রাম পুলিশের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন চাকুরীর জন্য আবেদন করে। আমি কাউকে নিয়োগ দেব বলে কোন কথা বা ওয়াদা দেই নি, কারো কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করিনি বরং আমি একজন মহিলা চেয়ারম্যান হিসেবে একজন মহিলা গ্রাম পুলিশ নিয়োগ হোক এটাই চেয়েছিলাম। তারা আমার কন্ঠস্বরকে নানাভাবে এডিটকরে, আমার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য রেকর্ডিং করে যার সাথে প্রাশসনের উর্ধতন মহল দোষারোপ করে। যাহাসম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একজন নারী চেয়ারম্যান হওয়ায় ওই চক্রান্তকারীদের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ যাতে সুষ্ঠুভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।