
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরী কাম প্রহরীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে স্কুল কক্ষে সরেজমিন তদন্ত পরিচালনা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী শিব প্রসাদ সরকারকে ২৮/৩/১৩ তাং নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বয়স ৩০ বছরের কমে রাখতে এনআইডি, জন্মনিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় তার বয়স ৪ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে জন্ম তাং ১৬/০৭/১০৭১, ২০০৮ সালে ১৫/২/৬৮, ২০১৩ সালে ৫/১/৮৩ এবং একই বছর খসড়া ভোটার তালিকায় জন্ম তাং ১৬/৭/৭৯ দেখানো হয়েছে। চাকুরি পেতে দেখানো হয়েছে ৫/১/৮৩। অথচ উক্ত ভোটার তালিকাগুলোতে তার ছোট ভাই উত্তম কুমারের জন্ম তাং রয়েছে ১৯/১১/৭৫। ইউপি চেয়ারম্যান আবম মোছাদ্দেক শিব প্রসাদ পিতার বড়পুত্র বলে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তকালে বাদী রুহুল আমিনসহ, মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগম, অভিভাবক মইনুদ্দিন, এরশাদ, রফিকুল, গনেশ গাইন সত্যতা প্রমানে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক জরুরী কাজে ঢাকায় থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অপর দিকে প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুনের বিরুদ্ধে ম্যনেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম, কমিটি বাতিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের, এমপি মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য গ্রহনে অনীহা, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। তদন্তকালে বাদীসহ তার পক্ষের স্বাক্ষীরা লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য প্রদান করেন। এবং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সিভিল রিভিশন নং ১৫৭৭/২০২১ (ভার্চুয়াল কোর্ট) এর রায় প্রদর্শন করা হয়। যাতে “পক্ষগণকে নালিশী বিষয়ে দখল ও পদ সংক্রান্তে স্থিতিবস্থা বজায় রাখিতে নির্দেশনা প্রদান করা হইল” মর্মে অনুবাদকৃত রায় লিপিবদ্ধ আছে।
তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিপিইও রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় তার জবানবন্ধি নিতে পারেনি। পরে তার বক্তব্য নেওয়া হবে। অপর অভিযোগের দপ্তরী কাম প্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে উভয় পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অফিস থেকে জন্ম তারিখের বিষয়ে বক্তব্য ও প্রমানাদি নেওয়া হবে। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে বিদ্যালয়ের এলাকার মানুষ দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে খারাপ পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এতে সুষ্ঠু স্কুল বা ক্লাস পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা স্কুলের স্বার্থে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।