গাজী জিয়াউর রহমান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কর্তৃক সাংবাদিক আক্তার হোসেন লাঞ্চিত। ঘটে যাওয়া ঘটনা, কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম সরকার কর্তৃক সুন্দরবন সংলগ্ন গোলাখালী নিষিদ্ধ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করলে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার রমজাননগর ইউনিয়ন প্রতিনিধি আক্তার হোসেন অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহ করে সংবাদটি প্রকাশিত করেন। তারই জেরে সাংবাদিক আক্তারকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে সাংবাদিক আক্তার হোসেন বিষয়টি তার সহকর্মী সাংবাদিকদের জানায়। এই নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
তবে এখানে শেষ না, কি ঘটেছিলো সেই দিন ?
গত বুধবার রাত ১১টার সময় গোলাখালী দীপ অঞ্চল বালুচরের পাশ থেকে কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ইয়াসিন হত্যা মামলার আসামী আব্দুল এর পুত্র মনির হোসেন, আমির আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক সহ কয়েকজন নৌ-পুলিশ সেজে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী গ্রামের জেলে আব্দুল সানার পুত্র হাফিজুর সানা, মীরগাং গ্রামের মৃত মোল্লার পুত্র মজিদ মোল্লা, মজিদ মোল্লার পুত্র বাবু মোল্ল্যাকে ধরে বর্তমান সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ দোহায় দিয়ে তাদের কাঁকড়া আটক করে। নগত ১ হাজার টাকা নিয়ে ১০ হাজার টাকা বাকি রাখে এবং অর্ধেক কাঁকড়া নিয়ে বাকি কাঁকড়াগুলো ছেড়ে দেয়। এবং ০১৭৯৪১৯৮৬২৪, নাম্বার বিকাশে টাকা দেওয়ার কথা বলে। সকালে জেলে হাফিজুর বাড়ীতে আসলে মনির ০১৭০৮৫১৫৬২১ নাম্বারে জেলে হাফিজুরের ০১৯৬৯৭১১১৫৪ ফোন দিয়ে বিকাশের টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মনির জেলে হাফিজুরের জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। জেলে হাফিজুর ভীতু হয়ে নৌ-পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। নৌ-পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মনিরের সকল কর্মকান্ড জানতে পারে। এদিকে নৌ-পুলিশ অবগত হয়েছে ভয়ে মনির চেয়ারম্যানের কাছে পালিয়ে থাকে। জেলে হাফিজুর টাকা দেবে বলে মনির ও রাজ্জাককে ভেটখালী বাজারে আসতে বললে মনির ও রাজ্জাক ভেটখালী বাজারে না এসে রহিম চেয়ারম্যানের ওখানে আছে বলে জেলে হাফিজুরকে সেখানে ডাকে। স্থানীয় কিছু সচেতন মহল সহ জেলে হাফিজুর কৈখালী জয়াখালী মোড়ে পৌছায় এবং মনির ও রাজ্জাককে চেয়ারম্যানের সামনে আটক করে। এমন ঘটনা শুনে সাংবাদিক আক্তার ঘটনাস্থলে পৌঁছে। চেয়ারম্যান রহিম মনিরকে পালাতে সাহায্য করে। সেই সময়ে সাংবাদিক আক্তার প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদী কন্ঠ দেখে পিছনের জের ধরে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় সাংবাদিক আক্তারকে গালাগাল সহ ধাক্কাধাক্কি করেন এবং সাংবাদিক আক্তারকে মারার জন্য তার সাঙ্গপাঙ্গকে নির্দেশ দেন। তখন স্থানীয়রা সাংবাদিক আক্তারকে উদ্ধার করে। সত্য সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকরা কতটা নিরাপত্তাহীন, তারই নজির দেখিয়ে দিলেন কৈখালী চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম । ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করেন সাংবাদিক মহল।