
আকরামুল ইসলাম:
আইসক্রিম বিক্রি করতে গেলে পুলিশ নিষেধ করছে, বাঁধা দিচ্ছে। এদিকে, এনজিওকর্মীরা বাড়িতে এসে বসে আছে তাদের কিস্তির টাকা দিতে হবে। আমি এখন টাকা পাবো কোথায়? এভাবেই নিজের কথাগুলো প্রকাশ করছিলেন সাতক্ষীরার আগড়দাড়ি ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, এনজিও গণমূখী নওয়াবেকী ফাউন্ডেশন থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে আইসক্রীমের ব্যবসা শুরু করেছি। এরই মধ্যে করোনার কারণে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বাড়িতে থাকতে বলেছে। আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন টাকা নেই। সপ্তাহে এক হাজার টাকা কিস্তি। এনজিওর লোকজন বলছেন, কিস্তির টাকা দিতেই হবে, ঝগড়া করছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি গ্রামের ভাদড়া গ্রামে
দেখা যায় এমন চিত্র। বিছানা পেতে, খাতা পত্র নিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন এনজিও সংস্থা নওয়াবেকী গণমূখী ফাউন্ডেশন মাঠকর্মী আলমগীর হোসেন ও আগরদাড়ি শাখার ব্যাঞ্চ ম্যানেজার মনিরুজ্জামান। কিস্তি আদায়কারী দুই এনজিও কর্মীর সামনে মোনিনুর রহমান নামের অপর একজন বলেন, মানুষের এখন কাজ নেই। আমরা টাকা দিবো কোথা থেকে। সরকার বাড়িতে থাকতে বলছে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করছে। সরকারের কাছে আপাতত কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য অনুরোধ করছি। তবে এসব কিছু মানতে নারাজ এনজিও মাঠকর্মী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দিবো। একই মন্তব্য করেন সঙ্গে থাকা ব্যাঞ্চ ম্যানেজার মনিরুজ্জামান। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, এনজিও পরিচালকদের সঙ্গে আমাদের এখনো কোন মিটিং করা হয়নি। তাদের আপাতত এক মাস কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য বলা হবে।