ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মতো বেশ কয়েকটি কম পরিচিত দল মাঠে সক্রিয় হয়েছে। ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় রয়েছে বিএনএম। দলটির মহাসচিব মো. শাহজাহান দাবি করেছেন, তারা সরকারের কোনো সহযোগিতা বা পৃষ্ঠপোষকতায় দল করেননি। তিনি বিএনএমকে ‘কিংস পার্টি’ নামে অভিহিত না করারও অনুরোধ করেন। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনএমের কার্যালয়ে নতুন নেতা-কর্মীদের যোগদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেখানে মো. শাহজাহান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। গতকাল নীলফামারী-১ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকীসহ মোট ১৪ জন বিভিন্ন পেশার লোকজন বিএনএমে যোগ দেন। মো. শাহজাহান বলেন, ‘শুরুতেই আমাদের কিংস পার্টি বলা হচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন করেন, এত বিশাল অফিস কীভাবে করলেন। আমরা হাসিমুখে এসব প্রশ্নের উত্তর দিলেও দুঃখ পাই। আমাদের নামের সঙ্গে কিংস পার্টি জুড়ে দেবেন না।’ শুক্রবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে’ ব্যবহার করে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো থেকে লোক ভাগিয়ে নিচ্ছে। নতুন দল করে, জেতানোর আশ্বাস দিয়ে মনোনয়ন দিচ্ছে, টাকাপয়সার লোভ দেখাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান বলেন, ‘কারও পৃষ্ঠপোষকতা, কারও আনুকূল্য, কারও প্রভাবে বিএনএম গড়ে ওঠেনি। বিএনপি ভাঙাও আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে চাই। বিএনপি এসব কথা অজুহাত হিসেবে বলছে।’ রাজনৈতিক মহলে প্রচার ছিল, শনিবার সাবেক সংসদ সদস্যসহ অন্য দলের বেশ কয়েকজন নেতা বিএনএমে যোগদান করবেন। এ উপলক্ষে বড় আয়োজন করারও পরিকল্পনা ছিল। তবে তা হয়নি। দলীয় কার্যালয়ে ছোট পরিসরে যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্বাচন এগিয়ে এলেও দলটিতে এখনো চেয়ারম্যান পদে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই বিষয়ে বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান বলেন, ‘এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়েছেন। চেয়ারম্যান যেকোনো সময় এসে যোগ দিতে পারেন। আমরা চমকের অপেক্ষায় আছি।’