প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৫, ২০২৫, ৬:৫৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ২:১৩ অপরাহ্ণ
কাশিমাড়িতে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ
মোঃ আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগরঃ শ্যামনগরে কাশিমাড়িতে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি আদালতে বিচারাধীন থাকায় আদালতের নোটিশ পেয়ে প্রতিপক্ষের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায়, ঘোলা গ্রামের মৃত আহম্মাদ গাজীর ছেলে আজিজুল হক গাজীর দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় এবং নিজ মালিকানাধীন জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্ৰামের মৃত সাবের গাজীর ছেলে মোসলেম গাজী গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সুত্রধরে প্রতিপক্ষ মোসলেম গাজী ও তার সহযোগীরা আজিজুল হক গাজীর বসতভিটা দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো সহ প্রায় সময় তাদেরকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালায়। এবং তাদের কে মোসলেম গাজী ও তার সহযোগিরা এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। আজিজুল গাজী ন্যায় বিচারের আশায় চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৭ এবং ১১৭ এর (গ) ধারার বিধান মোতাবেক প্রতিকার প্রার্থনা করেন। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিবাদীদের নিকট আদালতের জারিকৃত নোটিশ পৌছালে বিবাদী মৃত সাবের গাজীর ছেলে মোসলেম গাজী, রমজান গাজীর ছেলে মোজাহিদুল গাজী, ইসলাম গাজীর ছেলে বাবু গাজী ও রমজান গাজীর স্ত্রী আসমা খাতুন সহ আরও ৪/৫ জন ব্যক্তি আক্রোশপূর্নভাবে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র দা, রড নিয়ে আজিজুল গাজীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বসতঘর সহ ঘেরাবেড়া ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে আজিজুল হক গাজী বাধাপ্রদান করলে মুসলিম গং কর্তৃক তাকে এবং তার স্ত্রীকেও মারধর করে। আজিজুল হক গাজী বলেন, আমার মালিকাধীন জায়গায় আমি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। সম্প্রতি আমার শ্যালক আমার বাড়ির পাশেই তার মালিকানাধীন জমিতে বিল্ডিং বেধেছে। আমার শ্যালকের বিল্ডিং তৈরি প্রতিপক্ষের সহ্য না হওয়ায় তারা আক্রোশে হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের কে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি আদালতের নোটিশ পেয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের মারপিট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা এর বিচার চাই। আজিজুল হকের স্ত্রী বলেন, আমাদের উপর শত্রুতা করে আমাদের বসতঘর যাতে ভেঙ্গে পড়ে যায় সেকারনে ওরা আমাদের জমির সীমানা দিয়ে গভীর গর্ত খুড়ে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে মুসলিম গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওদের ঘরের মধ্যে জমি পাবো। ওরা আমাদের জমি দিচ্ছেনা। এরপরও ওরা আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে। তাই আমার নাতি উত্তেজিত হয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিক তাকে শান্ত করি। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি ঘটনাস্থলের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। আদালতের পিয়ন মোসলেম গাজীর বাড়িতে নোটিশ নিয়ে আসেছিল। নোটিশ দেখে মোজাহিদুলসহ অন্যরা উত্তেজিত হয়ে আজিজুলের বাড়িতে যায়। এদের হাক চিৎকারে আজিজুল ও তার স্ত্রী ভয়ে ঘরের দিকে সরে গিয়েছিল।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.