
হাফিজুর রহমান: দোকানের মধ্যে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় পুত্রকে হত্যার অভিযোগ করেছে স্ত্রী। সৎ মা এবং বাবার চক্রান্তে নিজ পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র আসায়াদ আল আদিল কে (১৭) হত্যা করে আত্মহত্যা বলে গলায় গামছা দিয়ে দোকানের মধ্যে ফাঁস লাগানোর ঘটনায় এই অভিযোগ দায়ের করেছে মা আকলিমা খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের চক পরানপুর গ্রামে। খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক শিহাব হোসেন ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৫১। এছাড়াও আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে স্বামী আফতাবুজ্জামান এর নামে নিজ পুত্রকে হত্যার আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় নিহত মা আকলিমা খাতুন সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য ছাড়া থানায় লিখিত অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার চুনাখালী গ্রামের মৃত আবু বক্কর এর পুত্র জামায়াত নেতা আফতাবুজ্জামান এর সঙ্গে ২০০৩ সালে বিবাহ হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে আসায়াদ আল আদিন (১৭) নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। সে কাটুনিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা পড়াশোনা করত। তার স্বামী আফতাবুজ্জামান পুত্র কে রেখে আমার দুই বিঘা জমি বিক্রির টাকা নিয়ে আব্দুল খালিগ্রামের আবদুর রহিমের কন্যা রহিমা খাতুন ওরফে পলি কে পরকীয়া করে বিবাহ করে। বিবাহের পরে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে আমি মৌতলা গ্রামে আব্দুল রশিদের বাড়িতে পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। কয়েকদিন আগে আমার নিকট ৩০ হাজার টাকা চাওয়ায় না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমাকে মারপিট করে পুত্রকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে শুনি আমার পুত্র গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। আসলে সে এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে পথের কাটা দূর করতে হত্যা করে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে দোকানের ভিতর গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।