
মামুন বিল্লাহ: কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, ধর্ষণ প্রচেষ্টা এবং ভিডিও ধারণে বাধা দেওয়া সহ মারপিটের ঘটনায় আকলিমা খাতুন নামে ১ গৃহবধূ ৮ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ৬ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য জানান ঘটনার তদন্তে থানার উপ পরিদর্শক মাহাবুর রহমান সত্যতা পেয়েও মামলা না নেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। এ বিষয়ে সত্যতা জানার জন্য থানার অফিসার্স ইনচার্জ জুয়েল আহমেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জেনে জানাবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। থানায় অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায় সাতক্ষীরার ,কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারুলগাছা গ্রামের অসহায় ,গরিব, দিনমজুর জামাল উদ্দিনের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের মৃত আক্কাস গাজীর পুত্র শাহাদাত হোসেন কু- প্রস্তাব ও যৌন হয়রানি করে আসছিল। বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে প্রথমে প্রতিবাদ করেনি। পরে লম্পট শাহাদাতের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মাঠে ছাগল নিয়ে যাওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকা শাহাদাত হোসেন জোর পূর্বক ধর্ষণ প্রচেষ্টা ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ায় শাহাদাত হোসেন ঐ গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঐ সময় তার শিশু সন্তান জান্নাতুল, মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করায় বেলা ১০ টার দিকে আহত দু,জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ঐ ভুক্তভোগী গৃহবধূ আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে লম্পট শাহাদাত হোসেনকে আসামি করে ৮ ডিসেম্বর রাতে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানতে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ইউপি সদস্য আফসার উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। থানার ওসি সাহেবকে জানিয়েছেন বলে জানান। তবে মামলা না নোয়ার বিষয়টি সম্পর্কে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বর্তমান ওই ভুক্তভোগী পরিবারটি স্থানীয় একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে গ্রামবাসী দাবি জানিয়েছেন।

