মামুন বিল্লাহ কালীগঞ্জ থেকে: ভূমিকম্পে এম এম প্লাজায় একাধিক স্থানে ফাটল নিয়ে ভবনের ব্যবসায়ী, ব্যাংক ,বীমা, বসবাসকারী ভাড়াটিয়া সহ আশেপাশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে ভবনের বসবাস কারী ব্যবসায়ী, ভাড়াটিয়া সহ আশেপাশের বহু লোকজন হতাহত হওয়ার আশঙ্কায়। শুক্রবার সকালে(২১ নভেম্বর) সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ব্যস্ততম সড়ক এম ,এম প্লাজায় (মতির বিল্ডিং) এ ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পের সময় ৬ তলা ভবনের চতুর্দিকে একাধিক ফাটল দেখা দেওয়ায় ভবন ছেড়ে আতঙ্কে সবাই রাস্তায় নেমে আসেন তবে কোন হতহতের ঘটনা ঘটেন। ভবনটি নির্মাণের পর থেকেই এমনিতেই মানুষের মধ্যে কখন ভেঙে পড়ে এই আতঙ্ক বিরাজ করে আসছে। কারন হিসাবে জানা যায় ৬ তলা ভবনের(নিচে) জায়গায় একটি বড় পুকুর ছিল। জমিটি কেনার পরে ওই পুকুর ভাটা মালিক আলহাজ্ব মতিউর রহমান অর্থাৎ মতি ভাটা তার ভাটার যত আমা ইটের আদলা ও খোয়া দিয়ে ভরাট করে। পরবর্তীতে কোন নির্মাণ প্রকৌশলীর প্ল্যান ছাড়া নিজ উদ্যোগে ভবনের কাজ শুরু করে। শুরুতেই পুকুর ভরাট করে ঢালাই দিলে সেই ঢালাই ছিদ্র হয়ে অনবরত পানি উঠতে থাকে। বিষয়টি দেখতে ওই সময় উৎসুক জনতার প্রায় ভিড় লেগে থাকত। বন্ধু না হওয়ায় পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা এবং জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলেও ভবনের কাজ চালাতে থাকে। ভবন নির্মাণের পরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রকৌশলীর প্লান দেখতে চাইলে সে সময় মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে একটি ভুয়া প্লান জমা দিয়ে রেহাই পায়। সেই থেকে এই ভবন নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনো পর্যন্ত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের কোন ভূমিকম্প হলে ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাইছে উপজেলাবাসি তা না হলে এক সময় রানা প্লাজার মত বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে বহু হতাহত হতে পারে।