হাফিজুর রহমান/হাবিবুল্লাহ বাহার ঃ সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর এবং মৌতলা ইউনিয়নে গত ৩ দিনে দুটো পৃথক দুধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১ টার সময় জয়পত্রকাটী গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হক সরদারের বাড়ীতে দুধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। চোর দলের সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা সোনার গহনা সহ মূল্যবান কাপড় নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঐসময় ৯৯৯ ফোন করলে রাত ৪টার সময় থানার উপ-পরিদর্শক হাসানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে সকাল ৯টার সময় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা এবং বেলা ২টার সময় সাতক্ষীরা পি.বি.আই. এর অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবিষয়ে নুরুল হক সরদার বাদী হয়ে রবিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী গৃহকর্তা নুরুল হক সরদার সাতনদীকে জানান শনিবার রাত ১১টার পর খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ীর দোতলার নীচের বারান্দায় তিনি ও তার স্ত্রী রওশনারা ঘুমিয়ে ছিলো। আর ছেলে রাহী ঘরে থাকলেও মেয়ে মারজা বাড়ীতে ছিলো না। শনিবার রাত আনুমানিক ১টার সময় ৬/৭ জনের চোর তার বাড়ীতে এসে টর্চের আলো জ্বেলে পিস্তল ও হাসুয়া দা ধরে তাদেরকে জিম্মি করে তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘরে থাকা ছেলে রাহিকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। এরপর সবাইকে এক জায়গায় করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাবি নিয়ে তালা খুলে ঘরের মধ্যে আলমারীতে রাখা নগদ ৫০হাজার টাকা, স্ত্রীর গলায় থাকার ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং মূল্যবান কাপড় চোপড় নিয়ে তারা চলে যায়। চোররা চলে যাওয়ার পর ৯৯৯ ফোন করি। এলাকায় তাদের কোনো শত্রæ না থাকলেও তিনি চৌমুহুনী দারুল উলুম সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি হওয়ায় অত্র মাদ্রাসার সুপারের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে বলে তিনি জানান। অন্য একটি পৃথক ঘটনায় গত শুক্রবার রাত ২টার সময় উপজেলা মৌতলা ইউনিয়নের মৌতলা কালিকাপুর গ্রামের মৃত চন্ডি চরণ সরকারের পুত্র কালীগঞ্জ হাসপাতালের প্রাক্তন স্বাস্থ্য সহকারী সুকুমার সরকারের বাড়ীতে দুধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। চোরেরা ঐ সময় প্রায় ৮/৯ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ঐসময় চোরেরা ঘরে ঢুকে বাড়ীর গৃহকর্তা সুকুমার সরকার, তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যাকে বেধে ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে ঘরে রক্ষিত স্বর্নালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকা লুট করে নেয়। উক্ত ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারটি চোরদের হুমকির ভয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেন নি। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা সাতনদীকে বলেন, চুরির ঘটনায় গৃহকর্তা নুরুল হকের অভিযোগে আমি নিজে ঘটনাস্থলে তদন্ত করে মামলা নিয়েছি। তবে মৌতলা কালিকাপুরের ঘটনার বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।