
হাফিজুর রহমান/হাবিবুল্লাহ বাহার ঃ কালীগঞ্জের এতিম অসহায়, অন্ধ ৭০ বছরের বৃদ্ধা বিধবা মরিয়ম ও তার বোন ৭৩ বছরের বিধবা রাহিলা ভিক্ষা করতে না পেরে ক্ষুধা ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগের কারনে একটি ঝুপড়ি ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো। ঘটনাটি নিয়ে সাতনদী পত্রিকায় এবং সাতনদী অনলাইন ভার্সনে গত শনিবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও অত্র পত্রিকার ব্যস্থাপনা সম্পাদক আল-ফেরদাউস আলফা’র নজরে আনেন। বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে সাতনদী পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলার নিজস্ব প্রতিবেদক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুল্লাহ বাহারের মাধ্যমে এতিম দুই বোন মরিয়ম এবং রাহেলার বিস্তারিত খোজ খবর নেন। সবকিছু জানার পর তিনি অসহায় বৃদ্ধা এতিম ভিক্ষুক দু’বোনের জন্য খাদ্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। শনিবার বিকাল আনুমানিক ৫টার সময় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলার রোজিনা কান্টুর মাধ্যমে অসহায় দু’বোনের বাড়ীতে যেয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আলফা’র দেওয়া ৩০ কেজি চাউল, ২ কেজি মুসুরের ডাউল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১০ টি ডিম, ২ প্যাকেট মুড়ি, ১ কেজি আলু, ১ কেজি বেগুন, ১ কেজি পটল, ১ কেজি কুমড়া ও নগদ ৩১০ টাকা আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দু’বোনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঐসময় সাতনদী পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলার নিজস্ব প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান এবং হাবিবুল্লাহ বাহার সাবির্ক ব্যবস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সহায়তা প্রদানের সময় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য রোজিনা কান্টু প্রথমে সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজ আবারো প্রমান হলো সাতনদী গণমানুষের পত্রিকা। সমাজের ধনী, গরীব, অসহায়, নির্যাতিতদের পক্ষে সত্য কথা বলার প্রতীক। আজ যেভাবে সাতনদী পত্রিকা অসহায় ক্ষুধার্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আগামীতে যাতে সাতনদী পত্রিকার চলার পথ অবিচল থাকে সেই দোয়া করি।