হাফিজুর রহমান:- কালীগঞ্জের বহুল আলোচিত মানবাধিকার কর্মী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মোসলেম উদ্দিন কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা কারি হত্যাসহ একাধিক সহিংস মামলার আসামি জামায়াতের দুধর্ষ ক্যাডার আব্দুস সবুর গং এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার ছত্র ছায়ায় ভূমি দখল, ভূমিদস্যুতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় তৎকালীন যৌথবাহিনীর সঙ্গে অভিযান শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে আসা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল থামিয়ে ফরিদপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র দুধর্ষ জামায়াতের ক্যাডার আব্দুস সবুর রাম দা ছোরা হাতে নিয়ে তার বাহিনীর ক্যাডাররা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপরে উপর্যপরি কুপিয়ে হত্যা করে। তার বিরুদ্ধে মোসলেম উদ্দীন হত্যা মামলা ছাড়া চৌমুহনী বাজারে আনারুলের দোকান পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, বাজারে বোমা মেরে সহিংসতার ঘটনা, আওয়ামী লীগ নেতা মুকুন্দ মধুসূধন পুর গ্রামের আবু তালেব সরদারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, শ্রীধর কাটি গ্রামের যুবলীগ নেতা বর্তমান ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, কালিগঞ্জ ফুলতলা বাজারে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা তাকে কুপিয়ে হত্যা প্রচেষ্টা, চৌমুহনী বাজারে পুলিশের গাড়ির উপর বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক সহিসং মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে দীর্ঘ দিন ওই সমস্ত মামলায় জেলহাজত খেটে বাড়িতে এসে বর্তমান নব্য আওয়ামীলীগ সেজে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে সামনে ইউপি নির্বাচনে কাজ করার নামে নব্য আওয়ামী লীগ হিসাবে তৎপরতা চালানোর ঘটনায় এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমান স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ কতিপয় ২/১ জন আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় অন্যের জমি দখল সহ নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ফরিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ সরদার, বাসার, মোফাজ্জল, মাসুম, আবুজার, হানিফ সহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান ফরিদপুর গ্রামের রেকডীয় বাখের সরদার, আহমেদ সরদার, মোহাম্মদ আলী সরদারের ফরিদ পুর মৌজার বি এস ২৯১ ৪৭, ৫০, ২৩১ নম্বর খতিয়ানের হাল ৯৩৯, ৯৪০ দাগে মোট ৯০ শতক জমি এবং অপর শরীক প সরদার একই মৌজায় ১৪০, ২৪৩ খতিয়ানে হাল ৯৬৫, ৯৪১, ৯৪৩ দাগে ৯১ শতক জমি নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক বছর ধরে আপস িিচহ্নিত মতে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমির মধ্যে বসবাসকারী আলী সরদারের পুত্র ইয়াসিন এবং মহাসিন সরদার এর জমি দখলের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২৫ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে জামায়াতের দুধর্ষ ক্যাডার আব্দুস সবুরের ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে অবৈধ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে ঘেরা দিয়ে দখল করে নেয়। উক্ত ঘটনায় ঐদিন ফরিদপুর গ্রামের মৃত আলী সরদারেরর পুত্র ইয়াসিন সরদার বাদী হয়ে জামায়াত ক্যাডার আব্দুস সবুর, মাহবুবুর রহমান, হাবিবুর রহমান সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার উপ সহকারী পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন কে নির্দেশ দেন। উপ-সহকারী পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্তের সত্যতা পায়। পরে উভয় পক্ষ মীমাংসার শর্তে থানায় বসতে রাজি হয়। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ইন্ধনে থানায় একাধিক বার বসা বসি হলেও কাগজপত্র দেখানোর নাম করে একাধিকবার সময় নিয়ে মাহবুব গং কালক্ষেপণ করে বসবে না বলে জানিয়ে দেয়। উপায়ন্ত না পেয়ে ইয়াসিন গং গত ৯ সেপ্টেম্বর দখলকৃত জায়গার ঘেরা তুলে ফেলে নিজেদের জায়গায় নিজেরা ঘেরা দেয়। ঐ সময় মাহাবুব গং ক্যাডার সবুর সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ইয়াসিন এর পরিবারের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের বেধড়ক পিটুনিতে ও কুপিয়ে সুফিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধুকে রক্তাক্ত জখম করলে ঐদিনিই কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উক্ত ঘটনায় ইয়াসিন সরদার বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক অহিদুর রহমান গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার সময় ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষ থানায় বসে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবার বিকাল ৪টার সময় নির্ধারণ করা হয়। সেখানেও ইয়াসিন গংরা উপস্থিত হলেও মাহবুব গংরা আবারো কাগজ যোগাড় করার অজুহাতে থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ৩ দিনের সময় প্রার্থনা করে একটি লিখিত আবেদন করেন। এ বিষয়ে থানার উপ-পরিদর্শক অহিদুর রহমান জানান বিষয়টি নিয়ে আবারো কালক্ষেপণের পায়তারা চালাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।