
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ইছামতি নদীর সীমান্তে পানি উন্œয়ন বোর্ডের ৩ নম্বর পোল্ডারের সাতবসু এলাকায় ভেঁড়ি বাধে আর্কষ্মিক ভাঁঙ্গনে প্লাবিত হওয়ার আতংকে ভাড়াশিমলা এবং নলতা ইউনিয়ন বাসী। রবিবার আনুমানিক বেলা ২টা হতে সীমান্তের বাংলাদেশের এপার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সাতবসু গ্রামের বিল সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঁড়ি বাধে হঠাৎ করে ভাঙ্গন শুরু হয়। আস্তে আস্তে রাতের মধ্যে ভেঁড়ি দুই তৃতীয় অংশ ভেঁঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ঐ রাতেই কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে সোমবার ভোর ৫ টার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক ও কার্য-সহকারী শফিকুল ইসলাম, জয়ন্ত কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পৌছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে সোমবার বেলা ১১টার সময় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছায়ে দ্রুত ১৭৫ কেজি ওজনের ৫শ টি জি,ও ব্যাগ মেরামতের জন্য এবং ইছামতি নদী হতে ১টি কারগো ও ৩টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে বাঁধের পার্শ্ব দিয়ে বিকল্প রিং বাঁধের কাজ শুরু করে। এসময় খবর পেয়ে বেলা ১২টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বিশ্বাস এবং নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক পাড় ঘটনাস্থলে যেয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সোমবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় ভাঙ্গন কবলিত ইছামতি সীমান্তবর্তী তীর ঘেষা সাতবসু এলাকার ওয়াপদা ভেঁড়ি বাঁধের ঘটনাস্থলে সরেজমিনে পৌছালে এলাকার আবুল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, দেব প্রসাদ, দিবেন সরকার জানান একে-তো সীমান্তবর্তী ইছামতি নদী থেকে ভারত-বাংলাদেশের ব্যববাসীরা বালু উত্তোনের পর ভেঁড়ি বাঁধ গুলো হুমকির ভিতরে রয়েছে। এছাড়ও ঘটনা স্থলে পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ভারতের কাঁটাখালী নদী- ইছামতি নদীতে মিশে ত্রিমুখী ¯্রােতের কারণে ওয়াপদা ভেঁড়ি বাঁধের নিচে পলি না জামায় কিছু কিছু জায়গায় ভেঁড়ি বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। তাছাড়াও জুয়ারের প্রচন্ড ¯্রােত ছাড়াও নদীর ভাটার কারণে পানি নিচে নেমে গেলে আকষ্মিক এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজকের মধ্যে এ ভাঙ্গন মেরামত করা বা ভিতর দিয়ে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করা হলে বাঁধ ভেঙ্গে কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন, নলতা ইউনিয়ন ছাড়াও কালিগঞ্জে আংশিক, দেবহাটা এবং আশাশুনি উপজেলার বির্স্তীন এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহ ছাড়া হয়ে বিকল্প আশ্রায়ের সন্ধানে ছুড়তে হবে। সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে জি,ও ব্যাগ দিয়ে বালি ভরে বাঁধের বাহিরে একশ মিটার রিং বাঁধ তৈরি করার জন্য ৩০/৪০জন শ্রমিক কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান জানান বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন সহ আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা একশ মিটার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বিকল্প রিং বাঁধ এর কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইছামতি নদী সীমান্তবর্তী সাতবসু, খাঁনজিয়া, দাদপুর, শুইলপুর, খারহাট, দমদম পাড়ের গ্রাম গুলো আতংকের ভিতরে আছে। বিষয়টি উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।