
হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জ উপজেলায় নলতার খাদেম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজিষ্ট, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী সহ আরো ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নলতা খান বাহাদুর আহসানাউল্লাহ (রাঃ) এর মাজারের খাদেম মৌলুভী আনছার উদ্দীন মঙ্গলবার সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। এই নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩৬ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ৯টি বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করেছেন উপজেলা করোনা এক্সপার্ট টিমের সদস্যরা।
গত ২৯ জুন কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে মোট ২১ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তা খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার দুপুরে এর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কল্যান কর্মকর্তা ডা: শৈখ তৈয়েবুর রহমানকে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলকে অবগত করালে থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে করোনা এক্সপার্ট টিমের সদস্যরা ৯টি বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করেন।
করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিরা হলো নলতা ইউনিয়নের নলতা গ্রামের খান বাহাদুর আহাসানাউল্লাহ (রা:) মাজার শরীফের খাদেম মরহুম আলহাজ¦ আনসার উদ্দীন, নলতা ইছাপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রাফিজা খাতুন (৩০), ইন্দ্রনগর গ্রামের আফাজতুল্লাহর পুত্র সাইদুল ইসলাম (২৭), নলতা শরীফ গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মাছুম বিল্লাহ (২৩) এবং একই গ্রামের আলহাজ¦ রোজিনা বিলকিছ (৫০), দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের পুত্র মোস্তফা সোহাগ (৩৫), তার স্ত্রী সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফিরোজ পারভীন (৩০), ফতেপুর গ্রামের গৌর চন্দ্রের পুত্র অসিম বিশ^াস (২৫), একই গ্রামের সুবাস চন্দ্রে পুত্র অমিত কুমার (৩৫), কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – এর প্যাথলজিষ্ট কিশোর কুমার কর্মকার (৩৮) এবং কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মচারী ইজ্জাতুল্লা মন্ডলের পুত্র ইমদাদুল হক (৪৮)।