আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় থানা মসজিদের খাদেমসহ পাঁচজন পলাতক জীবন যাপন করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি মিথ্যা মামলা হতে রেহাই পেতে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রাম রহিমপুরের ইয়াকুব আলী মোড়লের পুত্র নুর ইসলাম প্লাবনের সহিত ১৮/০৮/২২ তারিখে বিবাহ হয় শ্যামনগরের ভ্রুলিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান মোল্লার মেয়ে রোকিয়া সুলতানার। বিবাহের পরে মাত্র ২/৩ মাস স্বামীর সংসার করে সে। এরপর নানান ছলচাতুরী আর তালবাহানা করার একপর্যায়ে প্লাবনের সংসার করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় রোকিয়া সুলতানা (১৯)।এদিকে অতি সহজ সরল মানুষ কালিগঞ্জ থানা মসজিদের খাদেম ইয়াকুব আলী বিষয়টা জানতে পেরে বুঝিয়ে শুনিয়ে তাদের সংসার করানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এরপরে থেকে জানতে পারে পুত্রবধু রোকিয়া সম্রাট গাজীর নামের এক ছেলের পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। তার ছেলে প্লাবন বে সরকারি সংস্থা আশা’তে কাজ করার সুবাদে কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় জানতে পারে তার স্ত্রী আগষ্ট মাসে সম্রাটের হাত ধরে লাপাত্তা হয়েছে। অপরদিকে রোকিয়ার পিতা আব্দুর রহমান মেয়ে উদ্ধারে চাপ দিতে থাকে প্লাবন ও তার পরিবারের প্রতি। এমনকি থানায় তাদের বিরুদ্ধে জিডিও করেছে। মুল রহস্য হচ্ছে গত ২৩/০৮/২৩ তারিখে বিএসএফ এর মাধ্যমে ভারত থেকে বিজিবি’র হাতে তুলে দেয় লাপাত্তা হওয়া রোকিয়াকে। জানা গেছে, রোকিয়া পরকিয়া প্রেমিক সম্রাট গাজীর হাতধরে ৩০ জুলাই ২০২৩ তারিখে পালিয়ে যায় ভারতে। সেখানে নাম পরিচয় গোপন রেখে প্রেমিকার সাথে মত্ত থাকা অবস্থায় রোকিয়া জানতে পারে তার নাগর তাকে মোটা অংকে বিক্রির পায়তারা চালাচ্ছে। এমন খবর জানতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে উত্তর চব্বিশ পরগোনার স্বরুপনগর থানা এলাকা দিয়ে বিএসএফ এর নজর এড়িয়ে দেশে আসার চেষ্টা করে রোকেয়া। এসময়ে হাকিমপুর চেকপোষ্টের বিএসএফ জোয়ানরা তাকে আটক করে। একপর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৩/০৮/২৩ তারিখে রাতে ঝাওডাঙ্গা বর্ডার গার্ডের মাধ্যমে পিতা মাতার কাছে ফিরে আসে রোকিয়া। যে ঘটনা ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যে প্রচারিত হয়েছে। অপরদিকে উদোরপিন্ডু বুদোর ঘাড়ে চাপাতে ৮/৯/২৩ তারিখে মূল আসামী সম্রাট ও আকবরের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে স্বামী প্লাবন, শশুর ইয়াকুব আলী, মামা শশুর মতিয়ারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সম্পুর্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করে অযথা হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন ইয়াকুব আলী। কালিগঞ্জ থানার মামলা নং ১৪। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে ও নির্দোশদের মামলা হতে অব্যহতিদানে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।