কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: ভাগ্নেকে চুরির অপবাদ এবং জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্যালকের শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতি খুন এবং বোন আহত। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে।
উক্ত ঘটনায় নিহত শামসুর রহমান গাজী (৫৫) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ও ওবের আলী গাজীর পুত্র এবং আহত হয়েছে তার স্ত্রী মাজদা খাতুন (৪৭)। ঘটনার পর হতে একই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর পুত্র ঘাতক শ্যালক ফজর আলী গাজী (৫০) এবং তার ভাই আহাদ আলী গাজী (৩২) মারা যাওয়ার খবরে শ্যামনগর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
রঘুনাথপুর গ্রামের মুস্তাহিদ ইসলাম, আব্দুল হাকিম, রফিকুল ইসলাম এবং নিহতের পুত্রবধূ শাহানারা খাতুন জানান, গত ২/৩ দিন আগে রাতে নিহত শামসুর রহমানের পুত্র মিজানুর রহমান রঘুনাথপুর গ্রামের মাজেদ সরদার, শাহিনুর রহমান এর মৎস্য ঘেরে গেলে তাকে চোর সন্দেহে আটকে রাখে। সেখান থেকে মারের ভয়ে মিজানুর পালিয়ে বাড়িতে আসে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ১টার সময় মিজানুরের মামা অর্থাৎ নিহত শামসুর রহমানের শ্যালক ফজর আলী এবং আহাদ আলী ভগ্নিপতি শামসুর রহমান এবং বোন মাজেদা খাতুনের সঙ্গে ঝগড়াই লিপ্ত হয়। ওই সময় বোন ভগ্নিপতির সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে ফজর আলী এবং আহাদ আলী শাবল দিয়ে ভগ্নিপতি শামসুর রহমানের মাথায় উপযুপুরী আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় এবং বোন মাজদা খাতুন কে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় শামসুর রহমানকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে বিকাল ৫টার সময় থানার উপ পরিদর্শক মিলন হাসপাতালে যেয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত থানায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) আমিনুর রহমান জানান ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে আসামি গ্রেফতার এবং আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।