নিজস্ব প্রতিবেদক:সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে একাধিক যুবক। অনেকে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্য হুমকি দেয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়।
সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বন্দকাটি গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রী হায়দারের পুত্র রবিউল ইসলাম। সে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে চায়ের দোকানের আড়ালে জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু একসময় ছিল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। দুবেলা- দুমোটে খাওয়া জুটত না মা মানুষের বাড়ি বুয়ার কাজ করত। এখন জুয়ার এজেন্ট রবিউল রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করে।
রবিউল সিন্ডিকেটে ৭-৮ জন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টদের প্রভোলনে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে। আবার অনেকে নিঃস্ব হয়ে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। এজেন্টরা অভিনব কায়দায় বিভিন্ন ছত্রছায়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে আব্দুল্লাহ টেলিকমের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ। একসময় আব্দুল্লাহর বিকাশ-নগদে-ফেক্সিলোড়ের রমরমা ব্যবসা ছিল। জুয়ার এজেন্ট রবিউল সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা হেরে ঋণের দায়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বছর পর বছর এলাকায় আসতে পারছে না পাওনাদারদের চাপে ।
আরেকজন অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে বন্দকাটি গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র বিপ্লব হোসেন। বাড়ি তৈরি ৪-৫ লক্ষ টাকা অনালইন জুয়ায় হেরে সে আজ নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে গণমাধ্যমে সামনে তার নিঃস্ব হওয়ার গল্প তুলে ধরেছে। অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রবিউল ইসলামের শাস্তি দাবি করেছে।
একই গ্রামের যুবক লেদ মিস্ত্রী মিলন ও চায়ের দোকানদার সবুজ হোসেন অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পারে নিঃস্ব হয়ে দোকানপাট বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে ঋণের দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পাওনাদারা তাদের টাকার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে
বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক যুবক অনেকে প্রশাসনের ভয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে সাহস পায়নি। অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে যুবকরা ভয়ংকর অপারধে ঝুঁকছে বেড়েছে চুরি ডাকতির মত ভয়ংকর অপরাধ। অনেকে সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ডাকাতি করে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। গত কয়েকমাসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চেতনাশক স্প্রে ব্যবহারে ডাকাতি করে ২০ টি পরিবারের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
নাগরিক নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা ধোরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অভিযানের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টদের ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,অনলাইন জুয়ার বিষয় পুলিশ সচেতন রয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান করে বিভিন্ন এজেন্ট করে আটক করেছি। ধরা ছোঁয়ার বাইরে অনলাইন জুয়ার বাকি এজেন্টদের ধরার চেষ্টা করছি।অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনা হবে।