
হাফিজুর রহমানঃ- যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা সাহায্য দেওয়ার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ হ্যাকাররা বিকাশের মাধ্যমে এক কলেজ ছাত্রীর নিকট হতে পর্যায়ক্রমে ৪৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০ টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুরিয়া ডিগ্রী কলেজে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী উর্মিলা মারি ওই কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের দুলাবালা গ্রামের প্রদীপ মারি কন্যা। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী উর্মিলা মারি সাংবাদিকদের জানায় মঙ্গলবার সকালে কলেজে আসার পর সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে ০১৮২২-২৩৪২৪৬ এবং ০১৮৬৫-৯৩২৭৫৪ এই দুটি মোবাইল নাম্বার হতে ফোন করে প্রথমে আমার নাম বাবার নাম কলেজের নাম এবং আগের ১০ হাজার টাকা পাওয়ার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলে তুমি আবারও একটি মোটা অংকের টাকা পেতে যাচ্ছো। আমি সেটা সরল মনে বিশ্বাস করি, পরে আমার ব্যবহৃত বিকাশ নাম্বার সম্বলিত ০১৭২৩৬৭৪৫০৬ নাম্বারের টাকা ট্রানজাকশন এর জন্য পিন নাম্বার চায়। আমি সরল বিশ্বাসে টাকা পাওয়ার আশায় পিন নাম্বার দিয়ে দেই। পরের ট্রানজাকশন এর কথা বলে এবং টাকা ফেরত পাবার আশ্বাস দিয়ে তাদের পাঠানো ০১৯২৬২৯৯৫৬৬ এই বিকাশ নাম্বারে আমাকে ২৩ হাজার পাঁচ শত টাকা পাঠাতে বলে। আমি তখন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে কদমতলা বাজারে একটি বিকাশের দোকানে এর ০১৮২১১৪৭১৪৭ এই বিকাশ নাম্বার হতে প্রথমে ২৩ হাজার পাঁচশত টাকা পাঠাই। পরে তারা আবারও কাউকে না জানাইয়া ৬০০০ টাকা পাঠাতে বলে সেই মোতাবেক আমি ওই নাম্বারে ৬০০০ টাকা বিকাশ করি পরে তারা ০১৭৪০৫৭৭৮৯৯ এই বিকাশ নাম্বারে আরো ১৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। আমি সাথে সাথে বিকাশের দোকান হতে আরো ১৬ হাজার টাকা সহ মোট ৪৬ হাজার টাকা পাঠায়া দিই। তখন আমার বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি সাথে সাথে কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার আব্দুল ওহাবকে বিষয়টি সব খুলে বলি। তিনি আমাকে বকা দিয়ে সাথে সাথে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। খবর পেয়ে থানার পরিদর্শক তদন্ত মিজানুর রহমান গাড়ি নিয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার সময় কলেজে পৌঁছালে প্রতারক চক্র আবারো ফোন করে আমার নিকট আরো ১৬ হাজার টাকা দাবি করে ওই সময় ফোনটি পুলিশ পরিদর্শক স্যারের নিকট দিলে তিনি প্রতারক চক্রের সাথে কথা বললে চক্রটি বুঝে ফেলে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এদিকে গরীব অসহায় দিনমজুর বাবাকে না জানিয়ে টাকা পাওয়ার আশায় দ্রুত বাজারে এসে বিকাশের দোকান হতে টাকা পাঠিয়ে পরে দেবো বলে প্রতারণার ফাঁদে পরে ৪৬ হাজার টাকা হারিয়ে কলেজ ছাত্রী এখন বিকাশের দোকানের টাকা ফেরত দিতে না পারায় পাগলের মত প্রলাপ বকছে।