হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ট্র্যাক, পিকাপ, লরি, ড্রাম্পারের দৌরাত্বে উপজেলা জুড়ে রাস্তাগুলো বেহাল দশা। বিষয়টি নিয়ে এর আগে সাতনদী প্রতিকায় স-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের এলাকাবাসীর প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধর-পাকড় করলেও সামায়িক বন্ধ হয় অবৈধ যানবহনের চলাচল। গত কিছুদিন আগে প্রশাসনের রদ বদলের সাথে সাথে আবারও বেড়ে গেছে অবৈধ চলাচলের দৌরাত্ব যে কারণে উপজেলার কালিগঞ্জ হতে বাশতলা সড়ক, কৃষ্ণনগর সড়ক, রতনপুর কাটুনিয়া সড়ক, তারালী হতে উজিরপুর সড়ক, হাসপাতাল সড়ক সহ অধিকাংশ সড়ক গুলো খানা খন্দে পরিনত হয়ে পানি জমে সাধারণ মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে কাঁকশিয়ালী নদীর দু’পার ঘেষে জনবসতী এলাকা দখল করে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর বালু ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেনীর সুবিধা ভোগীরা। কালিগঞ্জ কাঁকশিয়ালী সেতু হতে নাজিমগঞ্জ বাজার হয়ে বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প পযর্ন্ত একাধিক জায়গায় পাঁকা রাস্তার পাশে ওয়াপদা ভেঁড়ি বাধের উপর বালু স্তুুপ করে দেদারচ্ছে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও দেখার কেউ নাই। এপযন্ত বালু বহনের জন্য প্রতিদিন শত শত ট্র্যাক,লরি,পিকাপ, ড্রাম্পার, ইঞ্জিন ভ্যান, ইঞ্জিন টলি, ব্যাটারি ভ্যান ব্যবহার আসছে। যেকারণে কালিগঞ্জ কাঁকশিয়ালী সেতু হতে নাজিমগঞ্জ, বিজিবি কোম্পানি সদর, শীতলপুর, বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প পযন্ত এল, জি, ই, ডির অথ্যায়নে নিমিত রাস্তা গুলোতে ফাটল এবং খানা খন্দে সৃষ্টি হয়েছে। নাজিমগঞ্জ বাজারে পাশ্চিম পাশে বালু ব্যবসায়ী আবুল কালাম, মনিরুল, রফিকুল , সিরাজুল, সামছুর মত আরো একাধিক অবৈধ্য দাপটের কাছে নতি স্বীকার করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসি একাধিক বার মৌখিক, লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসিনি। অধিকাংশ বালু ব্যবসায়ী মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বাড়ীর আশে- পাশে গ্রামে হওযায় বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব হওযায় চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। প্রতিদিন এ সমস্ত রাস্তা দিয়ে সর্ব সাধারণের চলাচল এবং বিজিবি সদস্যদের গাড়ি গুলো চলাচল করতে নান ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইয়াকুব, মাহবুব, সাফায়াত, নুর মোহাম্মদ মুক্তিযোদ্ধা সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান চেয়ারম্যান, মেম্বররা ভোট নষ্ট হবে এ কারণে কিছু বলে না। তাছাড়া নাজিমগঞ্জ বিজিবি কোম্পানি হেড কোয়াটারের পাশে এস, বি বিক্স নামক ইট ভাটার মাটি, ইট, বালু আনা নেওয়ার জন্য অবৈধ ট্র্যাক্টর, ট্রাক, লরি, পিকাপ ব্যবহারে রাস্তার আরো ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল দেখবেন বললেও কবে তার বাস্তবায়ন হবে সেই অপেক্ষায়া এলাকাবাসী । বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার সময় সরেজমিনে বিভিন্ন এলকায় যেয়ে দেখা যায় অধিকাংশ রাস্তা এল,জি, ই, ডির অর্থ্যায়নে তৈরি। এর মধ্যে নাজিমগঞ্জ বাজার হতে বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প পযন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ হিসাবে এলাকাবাসী ইট ভাটা এবং অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীদের যান বহনকে দায়ী করেছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন নিষেধাজ্ঞা বা তৎপরতা না থাকায় অবৈধ দখলদাররা দখল রাজত্ব কায়েক করে চলেছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ করেছে এলাকাবাসী।