কালিগঞ্জ ব্যুরো: প্রতিপক্ষ জাতীয় পাটির প্রার্থীকে ফাঁসাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাড়িতে গভীর রাতে কে বা কাহারা ত্রাশ সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ্যামলী রানী অধিকারীর বাড়িতে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জন বোমা কারিগর কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল হতে বোমা সাদৃশ্য ককটেলের ছিন্ন অংশ ও কিছু টাকা সহ একটি নতুন মানিব্যাগ জব্দ করে নিয়ে আসে। মানিব্যাগের ভিতর প্রতিপক্ষ জাতীয় পাটির প্রার্থী প্রয়াত চেয়ারম্যান কে,এম মোশারফ হোসেনের কন্যা সাফিয়া পারভীনের চাচাতো ভাই আনিছুর রহমানের ছবি পাওয়া যায়। সন্দেহ ভাজন হিসাবে আটককৃতরা হলো উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লিয়াকত শেখের পুত্র ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন (৩২), নজরুল শেখের পুত্র নাজমুল হোসেন (২৩), এবং একই গ্রামের শেখ আব্দুল বারীর পুত্র মিলন হোসেন (৩০)।
এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী শ্যামলী রানী বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ জাতীয় পাটির প্রার্থী সাফিয়া পারভীনের ১৬জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ভুক্তভোগী নৌকার প্রার্থী শ্যামলী রানী অধিকারী সাংবাদিকদের জানান শুক্রবার রাতে প্রচারনা শেষে বাড়িতে ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ ঘটিকার দিকে তার বাড়ির সামনে ককটেলের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি সরাসরি প্রতিপক্ষ প্রার্থী সাফিয়ার লোকজন করেছে বলে দাবী করলেও উল্ট্রো তাহার লোকজন কে ধরে রেখেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষ জাতীয় পাটির প্রার্থী সাফিয়া পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কর্মী সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করতে নিজেরা বোমা হামলার নাটক সাজিয়েছে। এর সঙ্গে আমার কোন নেতা কর্মীর সম্পৃক্ততা নাই। এর আগেও অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী নুর আহমেদ সুরুজের বাড়িতে বোমা হামলার নাটক সাজিয়ে ব্যর্থ হয়। থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী মুন্সি খবর পেয়ে থানায় এসে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানার অফিসার ইনচার্জ কে অনুরোধ করেন। এব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দুই প্রার্থীর বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি নিজে ঘটনাস্থলে যেয়ে বোমা সাদৃশ্য বিচ্ছন্ন অংশ এবং ঘটনাস্থল হইতে একটি নতুন মানিব্যাগ উদ্ধার করে সন্দেহ ভাজন তিন জন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় । পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় সন্ধায় ছেড়ে দেওয়া হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে যে দোষী হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না তাই সে যে দলেরই হোক।