হাফিজুর রহমান : এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ১৯৭১ সালে ৭মার্চ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। তার সেই ডাকে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম জনযুদ্ধে রূপ নেয়। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে যে রবিবার এই মুক্তির সনদ ঘোষনা করেছিলেন জাতির পিতা ৫০ বছরে এসে দিন ছিলো রবিবার। দিবসটি পালন উপলক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন রবিবার দিনভর পৃথক পৃথক ভাবে অগ্নিঝরা সেই ৭মার্চ ঐতিহাসিক ভাসনের ৫০ বছর পূর্তি পালন করা হয়। দিনের কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো দিনভর দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ভাষন প্রচার। সকাল ১০টায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্ত্বরে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টায় সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে কালিগঞ্জ থানার আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী পার্ক ময়দানে ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তোরনে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে আনন্দ উদযাপন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কেক কেটে উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার। এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চ ভাষনের শ্রুতি শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শ্যামনগর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জগলুল হায়দার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সেই মুক্তিসংগ্রামের স্বধীনতার ডাক না দিলে আজ বাংলাদেশ নামক একটি দেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে বিশ্বদরবারে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। দেশে আর ২০১৩ সালের মত কোনো অস্থীতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো অশুভ চক্র পায়তার চালায় তাহলে সেটা কঠোরহস্তে দমন করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানটি উদ্ধোধন করেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার অফিসের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার নরীম আলী মুন্সি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোটো, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অতিরিক্ত পিপি এ্যাডঃ মোজাহার হোসেন কান্টু, চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার্যাম শেখ রিয়াজ উদ্দীন, মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাটুল, রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক খোকন, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকত হোসেন, মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কবিরুজ্জামান মন্টু, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকন দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাওফিল আরা সজল, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দুলাল ঘোষ, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জী, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাঈম ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শাওন আহম্মেদ সোহাগ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়নের সুধী, সাংবাদিক ও হাজার হাজার জনগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে রাত্রে এক মোনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।